অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর ওয়ারি বনগ্রামে ধর্ষণের পর শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) হত্যার ঘটনায় জড়িত একজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ওই যুবক নবনির্মিত ওই ভবনেই অপর একটি পরিবারের সঙ্গে থাকত। তবে ঘটনার পর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে।
ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার সকালে শিশুর বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। ভবনের আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত এক যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে উক্ত যুবক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গত ৫ জুলাই, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নবনির্মিত ভবনটির নয়তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটের ভেতরে সায়মাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে।
ঐ ভবনেরই ছয়তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত সায়মা। বাবা আবদুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা। ওয়ারী সিলভারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়শুনা করতো সে।
আব্দুস সালাম বলেন, সন্ধ্যার পর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার মাকে বলে ‘আমি উপরের ফ্ল্যাটে যাচ্ছি, একটু খেলাধুলা করতে।’ এরপর থেকে নিখোঁজ হয় সায়মা। অনেক খোঁজা-খুঁজির পর ৯ তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে গলায় রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় সায়মাকে পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন-০১৮২২৮১৫৭৪৮
Desing & Developed BY ধানসিঁড়ি আইটি