ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরা কোনো সেশনজট রাখব না : প্রধানমন্ত্রী। (পিইসি, জেডিসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর)

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা শিক্ষাকে আরও আধুনিক, উন্নত এবং বিজ্ঞানসম্মত করতে চাই। শুধু সাধারণ শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষাকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যাতে একজন ছেলেমেয়ে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেরা কিছু করতে পারে। আমরা কোনো সেশনজট রাখব না।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া সম্মানের সঙ্গে কেউ বাঁচতে পারে না। বিশ্বে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে সমাজকে সুশিক্ষিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তরকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো ফলাফল করতে হলে আমাদের শিশুদের আরও মনোযোগী হতে হবে। ভবিষ্যতে যেন ফলাফল আরও ভালো হয়, সেজন্য মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।

সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দেয়াসহ বৃত্তি প্রদান করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। সংবিধানে শিক্ষার কথা বলা আছে গুরুত্বের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। এই দেশটাকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই। উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই । আমরা এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই যেখানে থাকবে না কোনো দরিদ্রতা, বৈষম্য। থাকবে উন্নত সমাজ ব্যবস্থা।
প্রাথমিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়ার কারণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাও ২৬ হাজার প্রাথমিক স্কুলকে সরকারিকরণ করেছি। যেখানে স্কুল নেই সেখানে আমরা স্কুল করারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। গরিব বাবা-মার ওপর যেন চাপ না পড়ে, সেজন্য আমরা বছরের শুরুতেই বই দিচ্ছি।

পড়াশোনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সারাক্ষণ শুধু পড় পড় করলে ছোট ছেলেমেয়েদের ভালো লাগে না। খেলাধুলার মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করবেন। এখন আমরা সাড়ে তিন হাজার ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দিয়েছি। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস হচ্ছে। এই সমস্ত ক্লাসের মাধ্যমে তাদেরকে নতুন প্রযুক্তিতে শিক্ষা দিন।
বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই ফল প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রতিটি পরীক্ষা সময়মতো হবে এবং ফলাফলও সময়মতো হবে। আমরা কোনো সেশনজট রাখব না। সেশনজট থাকলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় অমনোযোগ চলে আসে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

আমরা কোনো সেশনজট রাখব না : প্রধানমন্ত্রী। (পিইসি, জেডিসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর)

আপডেট সময় : ১১:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা শিক্ষাকে আরও আধুনিক, উন্নত এবং বিজ্ঞানসম্মত করতে চাই। শুধু সাধারণ শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষাকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যাতে একজন ছেলেমেয়ে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেরা কিছু করতে পারে। আমরা কোনো সেশনজট রাখব না।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া সম্মানের সঙ্গে কেউ বাঁচতে পারে না। বিশ্বে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে সমাজকে সুশিক্ষিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তরকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো ফলাফল করতে হলে আমাদের শিশুদের আরও মনোযোগী হতে হবে। ভবিষ্যতে যেন ফলাফল আরও ভালো হয়, সেজন্য মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।

সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই দেয়াসহ বৃত্তি প্রদান করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। সংবিধানে শিক্ষার কথা বলা আছে গুরুত্বের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। এই দেশটাকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই। উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই । আমরা এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই যেখানে থাকবে না কোনো দরিদ্রতা, বৈষম্য। থাকবে উন্নত সমাজ ব্যবস্থা।
প্রাথমিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়ার কারণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাও ২৬ হাজার প্রাথমিক স্কুলকে সরকারিকরণ করেছি। যেখানে স্কুল নেই সেখানে আমরা স্কুল করারও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। গরিব বাবা-মার ওপর যেন চাপ না পড়ে, সেজন্য আমরা বছরের শুরুতেই বই দিচ্ছি।

পড়াশোনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সারাক্ষণ শুধু পড় পড় করলে ছোট ছেলেমেয়েদের ভালো লাগে না। খেলাধুলার মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করবেন। এখন আমরা সাড়ে তিন হাজার ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দিয়েছি। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস হচ্ছে। এই সমস্ত ক্লাসের মাধ্যমে তাদেরকে নতুন প্রযুক্তিতে শিক্ষা দিন।
বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই ফল প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রতিটি পরীক্ষা সময়মতো হবে এবং ফলাফলও সময়মতো হবে। আমরা কোনো সেশনজট রাখব না। সেশনজট থাকলে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় অমনোযোগ চলে আসে।