বরিশালে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে প্রতিদিনই মশক নিধন স্প্রে করলেও কমছে না মশার উৎপাত। এতে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। তাই এখনই মশা নিধন না করা গেলে এবছর ডেঙ্গুর বিস্তার ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মোকাবিলায় ঘরবন্দি মানুষ বাড়তি কষ্টে আছে মশার উৎপাতে। বরিশালের মূল শহর থেকে শুরু করে আশপাশের সকল বাসিন্দারা যেন নাজেহাল মশার যন্ত্রনায়।
এডিশ মশা বিস্তার নিয়ে সতর্ক করছেন পরিবেশবাদীরা। ডেঙ্গু তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রগুলো চিন্হিত করে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ তাদের। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, ‘যে সব জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে সেগুলোকে যথাযথ নজরদারির মধ্যে আনতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে সবার জন্য পরিবেশ এর বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী রনজিৎ দত্ত বলেন, ‘একদিকে করোনা আরেক দিকে যদি ডেঙ্গু চলে আসে তাহলে মানুষ পড়বে মহাবিপদে। এই অবস্থার পরিবর্তনে কাজ করা দরকার।’
মশক নিধনে সব ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৩ হাজার লিটার ওষুধ ছেটানো হচ্ছে বলে জানান সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র। বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসের লিটু বলেন, ‘তিন হাজার লিটার জীবানুনাশক আমরা প্রতিদিন রাস্তায় স্প্রে করছি। যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশন প্রস্তুত।’
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। বিভাগীয় সিভিল সার্জন ডা: মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ডেঙ্গুজ্বর যাতে কোন ভাবেই বাড়তে না পারে সে জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ি কাজ চলছে।’
করোনা মোকাবিলায় এখন প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ।বন্ধ, নির্মাণাধীন ভবনের কাজও। এদিকে, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এ মাসেই আরো কয়েকবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এডিস মশার বিস্তার ঠেকাতে ভবনের ছাদে, ফুলের টবে, কিংবা এসির পানি জমে না থাকার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন থেকে, এখন থেকেই সচেতন হওয়ার আহবান সিটি করপোরেশনের।
সূত্রঃ ডিবিসি নিউজ