ধানসিঁড়ি নিউজ//করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে মোট এক হাজার ২৫৭ কোটি টাকা পাচ্ছে।
আজ ১৪ মে বৃহস্পতিবার ৬৪ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে এ টাকা দেয়ার কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করেন। এসব টাকা সুবিধাভোগীদের মূলত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে বিকাশ, রকেট, নগদ এবং শিওরক্যাশ। অর্থাৎ নগদ সহায়তা হলেও কাউকে নগদে টাকা দেয়া হবে না মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
আজ ১৪ তারিখ প্রধামন্ত্রী উদ্বোধনের পর ১০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেয়া হবে। এর পরবর্তী চার দিন ৪০ লাখ পরিবারকে এ অর্থ দেয়া হবে। বিতরণ শুরু হওয়ার পর থেকে চলবে ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত। উদ্বোধনী দিনে বরিশাল জেলার ১৩০ টি পরিবার পাচ্ছে এই অর্থ সহায়তা।
পর্যায়ক্রমে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ৪০ হাজার পরিবার, সদর উপজেলায় ৯৯৬০ জন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা এবং পৌরসভাসহ ১৪১৫০ জন, আগৈলঝাড়া উপজেলায় ৬৭৪০ জন, গৌরনদী উপজেলা এবং পৌরসভাসহ ৮৫১০ জন, উজিরপুর উপজেলা এবং পৌরসভাসহ ১০৬০০ জন, বানারীপাড়া উপজেলা এবং পৌরসভাসহ ৬৬৮০ জন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা এবং পৌরসভাসহ ১২৫৭০ জন, মুলাদী উপজেলা এবং পৌরসভাসহ ৭৮৮০ জন, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৬৩৩০ জন, হিজলা উপজেলায় ৬৫৮০ জন মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার পরিবার পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই পক্রিয়ার মাধ্যমে পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসময় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন কালে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল ৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ এমপি, বরিশাল ৬ আসনের সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্না এমপি, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা এমপি, বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক বরিশাল রেঞ্জ বরিশাল, পুলিশ কমিশনার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম বার, কমান্ডিং অফিসার ৬২ ইস্ট বেঙ্গল শেখ হাসিনা সেনানিবাস লে. কর্নেল ফয়সল আবেদী হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল, সিভিল সার্জন বরিশাল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, গনমান্যব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে ১১ জন উপকারভোগীর হাতে নগদ টাকা এবং জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী খাদ্য উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে যেসব পরিবার বিপদে পড়েছে, তাদের মধ্য থেকে ৫০ লাখ পরিবারের একটি তালিকা করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিক, হকারসহ নানা পেশার মানুষকে রাখা হয়েছে। এ টাকা পেতে সুবিধাভোগীদের কোনো টাকা দিতে হবে না যাবতীয় খরচের টাকা সরকার বহন করবে।
মোট ৫০ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর কাজের মধ্যে বিকাশের ভাগে রয়েছে ১৫ লাখের দায়িত্ব। ১৭ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পাঠাবে নগদ। বাকি ১৮ লাখ পরিবারের কাছে এ টাকা পৌঁছাবে রকেট ও শিওরক্যাশ। উদ্যোগটির সঙ্গে জড়িত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। আর পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সাহায্যে।