ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ ২৭ দিন পরে বাসায় ফিরলেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০
  • ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

ধানসিঁড়ি নিউজঃ একজন শাহরিয়ার একটি বিপ্লবের নাম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মত একটি স্পর্শকাতর অধিদপ্তরে যিনি এনেছেন আমুল পরিবর্তন। হার মানেননি কোন শক্তি অপশক্তির কাছে। তিনি একাই টেনে এনেছেন এবং দিয়েছেন একটি স্বার্থক ভোক্তা অধিদপ্তর। বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন কোটি মানুষের ভালবাসা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (উপসচিব) সেই মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার করোনা আক্রান্ত হন গত ১৩ মে। তারপর শরীরের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বয়ে গেছে তার। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ব্যাক পেইন তীব্র হয়েছে। স্কয়ার হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ল্যাবএইড, আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল ঘুরে এবং সবশেষ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৭ দিন করোনার আক্রান্ত থেকে অবশেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন প্রশাসন ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা। শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হওয়ায় তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ব্যাক পেইনের জন্য চিকিৎসক দুই সপ্তাহের বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। খুশির খবর হল স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ের যে করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছিল, আজ মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, সবার করোনা নেগেটিভ এসেছে। স্ত্রী তানজিনা সুলতানা, মেয়ে তাইফা নূহা আশী (১২) ও ছেলে তানজিন শাহরিয়ার আরিফের (১০) শরীরে করোনা নেই।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সবার দোয়ায় আমি সুস্থ হয়েছি। বণিজ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য সচিব সার্বক্ষণিক খবর নিয়েছেন। তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। গত ১৩ মে প্রথম করোনা পজেটিভ ধরা পড়ার পর তিন দফায় পরীক্ষা করে প্রতিবারই করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে মনজুর শাহরিয়ারের। ২৬ মে দ্বিতীয় দফা রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হলে সেখানেও পজিটিভ আসে।

গত ২৮ মে অবস্থার অবনতি হলে প্রথম নেওয়া হয় ল্যাবএইড হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে ভর্তি করানো হয়নি। পরে নেওয়া হয় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। সবশেষ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় একই দিন ২৮ মে। ৩ জুন করোনা নেগেটিভ আসে তাঁর। অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গতকাল বাসায় ফিরেন তিনি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

দীর্ঘ ২৭ দিন পরে বাসায় ফিরলেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০

ধানসিঁড়ি নিউজঃ একজন শাহরিয়ার একটি বিপ্লবের নাম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মত একটি স্পর্শকাতর অধিদপ্তরে যিনি এনেছেন আমুল পরিবর্তন। হার মানেননি কোন শক্তি অপশক্তির কাছে। তিনি একাই টেনে এনেছেন এবং দিয়েছেন একটি স্বার্থক ভোক্তা অধিদপ্তর। বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন কোটি মানুষের ভালবাসা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (উপসচিব) সেই মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার করোনা আক্রান্ত হন গত ১৩ মে। তারপর শরীরের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বয়ে গেছে তার। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ব্যাক পেইন তীব্র হয়েছে। স্কয়ার হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ল্যাবএইড, আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল ঘুরে এবং সবশেষ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৭ দিন করোনার আক্রান্ত থেকে অবশেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন প্রশাসন ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা। শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হওয়ায় তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ব্যাক পেইনের জন্য চিকিৎসক দুই সপ্তাহের বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। খুশির খবর হল স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ের যে করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছিল, আজ মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, সবার করোনা নেগেটিভ এসেছে। স্ত্রী তানজিনা সুলতানা, মেয়ে তাইফা নূহা আশী (১২) ও ছেলে তানজিন শাহরিয়ার আরিফের (১০) শরীরে করোনা নেই।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সবার দোয়ায় আমি সুস্থ হয়েছি। বণিজ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য সচিব সার্বক্ষণিক খবর নিয়েছেন। তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। গত ১৩ মে প্রথম করোনা পজেটিভ ধরা পড়ার পর তিন দফায় পরীক্ষা করে প্রতিবারই করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে মনজুর শাহরিয়ারের। ২৬ মে দ্বিতীয় দফা রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হলে সেখানেও পজিটিভ আসে।

গত ২৮ মে অবস্থার অবনতি হলে প্রথম নেওয়া হয় ল্যাবএইড হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে ভর্তি করানো হয়নি। পরে নেওয়া হয় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। সবশেষ বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় একই দিন ২৮ মে। ৩ জুন করোনা নেগেটিভ আসে তাঁর। অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গতকাল বাসায় ফিরেন তিনি।