ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সঠিক সময় আইসিইউ পেলে হয়তো বেঁচে যেতেন ডা. আনোয়ার

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: বরিশালের আধুনিক বেসরকারি রাহাত-আনোয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার হোসেন করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮মে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় যান। সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ’র জন্য ঘুরতে থাকেন কিন্তু পাচ্ছিলেন না আইসিইউ। অবশেষে যখন পাওয়া গেল তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে, ততক্ষণে থেমে গেছে তাঁর হৃদস্পন্দন। ৯মে শেষ রাত তিনটায় সকল বন্ধন ছিন্ন করে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে গেলেন চিরতরে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
৯মে বেলা ১২টায় তাঁর নিজ গ্রাম ঝালকাঠী সদরের নাক্তা গ্রামে নাক্তা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
তিনি বরিশালের আধুনিক রাহাত-আনোয়ার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বরিশাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক বরিশালের আজকালের খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।
ডা. মো. আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমায় ভুগছিলেন। গত সোমবারও তার প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে রোগী দেখেন ডা. আনোয়ার হোসেন। এর আগে রবিবারও তার হাসপাতালে রোগীদের অস্ত্রোপচার করেন তিনি। করোনার প্রকোপ শুরুর পর নগরীর স্বনামধন্য চিকিৎসকরা লাপাত্তা হলেও একদিনের জন্যও রোগী সেবায় পিছপা হননি তিনি। সামনের সারিতে থেকে নিজের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেন ডা. আনোয়ার।
রাহাত-আনোয়ার হাসপাতালের পরিচালক অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক জানান, অক্সিজেন লাগানো অবস্থায় সোমবার রাতে এ্যাম্বুলেন্সে প্রথমে তাকে ঢাকার এ্যাপোলো, পরে স্কয়ার এবং আনোয়ার খান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ সুবিধা না পাওয়ায় রাত ৩টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর বাড্ডা এলাকার এএমসি হাসপাতালে। ততক্ষণে না ফেরার দেশে চলে যান ডা. আনোয়ার হোসেন।
আজকালের খবর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক খান স্বপন জানান, ঢাকায় হাসপাতাল খুঁজতে খুঁজতে এ্যাম্বুলেন্সের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। অক্সিজেনের অভাবে মারা যায় ডা. মো. আনোয়ার হোসেন। ডা. আনোয়ার করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে নিজে থেকেই তার সন্দেহ ছিল। তবে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
গতকাল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। এছাড়া তার পরিবারের সদস্য ও তার সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদের নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

সঠিক সময় আইসিইউ পেলে হয়তো বেঁচে যেতেন ডা. আনোয়ার

আপডেট সময় : ১২:৩৪:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি: বরিশালের আধুনিক বেসরকারি রাহাত-আনোয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার হোসেন করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮মে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় যান। সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ’র জন্য ঘুরতে থাকেন কিন্তু পাচ্ছিলেন না আইসিইউ। অবশেষে যখন পাওয়া গেল তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে, ততক্ষণে থেমে গেছে তাঁর হৃদস্পন্দন। ৯মে শেষ রাত তিনটায় সকল বন্ধন ছিন্ন করে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে গেলেন চিরতরে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
৯মে বেলা ১২টায় তাঁর নিজ গ্রাম ঝালকাঠী সদরের নাক্তা গ্রামে নাক্তা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
তিনি বরিশালের আধুনিক রাহাত-আনোয়ার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বরিশাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক বরিশালের আজকালের খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন।
ডা. মো. আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমায় ভুগছিলেন। গত সোমবারও তার প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে রোগী দেখেন ডা. আনোয়ার হোসেন। এর আগে রবিবারও তার হাসপাতালে রোগীদের অস্ত্রোপচার করেন তিনি। করোনার প্রকোপ শুরুর পর নগরীর স্বনামধন্য চিকিৎসকরা লাপাত্তা হলেও একদিনের জন্যও রোগী সেবায় পিছপা হননি তিনি। সামনের সারিতে থেকে নিজের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেন ডা. আনোয়ার।
রাহাত-আনোয়ার হাসপাতালের পরিচালক অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক জানান, অক্সিজেন লাগানো অবস্থায় সোমবার রাতে এ্যাম্বুলেন্সে প্রথমে তাকে ঢাকার এ্যাপোলো, পরে স্কয়ার এবং আনোয়ার খান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে আইসিইউ সুবিধা না পাওয়ায় রাত ৩টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর বাড্ডা এলাকার এএমসি হাসপাতালে। ততক্ষণে না ফেরার দেশে চলে যান ডা. আনোয়ার হোসেন।
আজকালের খবর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক খান স্বপন জানান, ঢাকায় হাসপাতাল খুঁজতে খুঁজতে এ্যাম্বুলেন্সের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। অক্সিজেনের অভাবে মারা যায় ডা. মো. আনোয়ার হোসেন। ডা. আনোয়ার করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে নিজে থেকেই তার সন্দেহ ছিল। তবে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
গতকাল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান। এছাড়া তার পরিবারের সদস্য ও তার সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদের নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।