অনলাইন নিউজ ডেসকঃ টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে মোট ৭টি হ্যাটট্রিক রয়েছে ভারতের। এ দুটি সংস্করণে হ্যাটট্রিকসংখ্যা বিচারে ভারতের সমান অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
কিংস্টোন টেস্টে কাল দ্বিতীয় দিনে হ্যাটট্রিক করেছেন জশপ্রীত বুমরা। টেস্টে ভারতের তৃতীয় বোলার হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন তিনি। টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে এ নিয়ে সাতজন বোলার হ্যাটট্রিক করলেন ভারতের হয়ে। হ্যাটট্রিকের এ মঞ্চে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সমানে সমান। বাংলাদেশেরও হ্যাটট্রিক ৭টি।
টেস্টে ভারতের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক হরভজন সিংয়ের। ২০০১ কলকাতা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। এর পাঁচ বছর পর ২০০৬ করাচি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন পেসার ইরফান পাঠান। আর এ সংস্করণে শেষ হ্যাটট্রিকটি বুমরার। তবে আন্তর্জাতিক ময়দানে ভারত প্রথম হ্যাটট্রিকের মুখ দেখেছে ওয়ানডে সংস্করণে। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে নাগপুরে নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পেসার চেতন শর্মা। এ সংস্করণে আরও তিনটি হ্যাটট্রিক দেখেছে ভারত।
১৯৯১ এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ভারতের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল দেব। এ সংস্করণে তৃতীয় হ্যাটট্রিক দেখতে ২৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ভারতকে। ২০১৭ সালে কলকাতায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। শেষ হ্যাটট্রিকটি গত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মোহাম্মদ শামির। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক নেই কোনো ভারতীয় বোলারের। অর্থাৎ টেস্ট ও ওয়ানডেতে মিলিয়ে ভারতের সাতজন বোলার সাতটি হ্যাটট্রিক করেছেন।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দুটি হ্যাটট্রিক করেছেন দুজন বোলার। প্রথম হ্যাটট্রিকটি ২০০৩ পেশোয়ার টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে অলক কাপালির। ১০ বছর পর কাপালির পাশে বসেন সোহাগ গাজী। চট্টগ্রাম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন এ স্পিনার। টেস্টে বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক-সংখ্যা ভারতের চেয়ে কম হলেও ওয়ানডেতে কিন্তু বেশি। এ সংস্করণে হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশের মোট পাঁচ বোলার।
প্রথম হ্যাটট্রিকটি ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পেসার শাহাদত হোসেনের। চার বছর পর ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটি এনে দেন স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। ২০১৩ সালে ঢাকাতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় হ্যাটট্রিকটি পেসার রুবেল হোসেনের। পরের বছর সেই ঢাকাতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ হ্যাটট্রিক এনে দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। আর শেষ হ্যাটট্রিকও এক পেসারের—তাসকিন আহমেদ। দুই বছর আগে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সব মিলিয়ে এ সংস্করণে ৫ হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। টেস্টে ২ হ্যাটট্রিক মিলিয়ে এ দুটি সংস্করণে বাংলাদেশের মোট হ্যাটট্রিকসংখ্যা ৭টি—যা ভারতের সমান।
টেস্টে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক ইংল্যান্ডের। দেশটির মোট ১৩জন বোলার মিলে ১৪টি হ্যাটট্রিক করেছেন। ৯জন বোলার মিলে ১১ হ্যাটট্রিক নিয়ে দুইয়ে অস্ট্রেলিয়া। এরপর যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৪ বোলার মিলে ৪টি), পাকিস্তান (৩ বোলার মিলে ৪টি), ভারত (৩ বোলার মিলে ৩টি) ও বাংলাদেশ (২ বোলার মিলে ২টি)। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৯ হ্যাটট্রিক শ্রীলঙ্কার। এরপর যথাক্রমে পাকিস্তান (৮), অস্ট্রেলিয়া (৬) ও বাংলাদেশ (৫)। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের সমান ৪টি করে হ্যাটট্রিক।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দুটি করে হ্যাটট্রিক নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার। ১টি করে হ্যাটট্রিক অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের।
শিরোনাম :
- হোম
- Uncategorized
- টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে হ্যাটট্রিকে ভারত-বাংলাদেশ সমান
টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে হ্যাটট্রিকে ভারত-বাংলাদেশ সমান
- বার্তা কক্ষ
- আপডেট সময় : ০৮:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ