ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুর টোলের হার নির্ধারণ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৩৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ সরকারের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুনে গাড়ি চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এ সেতুর নির্মাণ খরচ পরিশোধ করবে সেতু বিভাগ। সেতু দিয়ে চলাচল করা যানবাহন থেকে নেওয়া টোলের টাকা হবে নির্মাণ খরচ পরিশোধের উৎস। এ জন্য এখন পদ্মা সেতুর টোলের হার নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে।
২০২১-২২ অর্থবছর থেকে অর্থ বিভাগকে নির্মাণ খরচের টাকা পরিশোধ শুরু করবে সেতু বিভাগ। ৩৫ বছরের মধ্যে তা পরিশোধের কথা রয়েছে। সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর টাকা ফেরতের জন্য সম্প্রতি অর্থ বিভাগের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ঋণের টাকা চুক্তি অনুযায়ী পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। কত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করবে তা চুক্তিতেই স্পষ্ট করা আছে।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর টোলের হার কী হবে এ নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। অর্থ বিভাগের সঙ্গে গত ২৯ আগস্ট সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তির পর বিষয়টি আরও গুরুত্ব পায়। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার। ১ শতাংশ সুদহারে সুদসহ ঋণ পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে সর্বনিম্ন প্রায় ৮২৬ কোটি থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। এই টাকা আদায় করা হবে টোলের মাধ্যমে। নির্মাণকাজ শেষে গাড়ি চলাচলের ১৫ বছর পর ১০ শতাংশ বা যৌক্তিক হারে টোল বাড়বে বলে অর্থ বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মূল কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। সেতুটি চালু হলে জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুটি চালু হলে ১০ মিনিটেই পদ্মা নদী পাড়ি দেওয়া সম্ভব বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ফেরির মাধ্যমে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাট হয়ে পদ্মা পার হয় যানবাহন। এ জন্য সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। সেতু চালু হলে সময় বাঁচলেও বাড়বে খরচ। কারণ বর্তমানে চলাচলরত ফেরির দেড়গুণ হারে টোল নির্ধারণের প্রস্তাব যাচ্ছে অর্থ বিভাগে। অবশ্য টোলের হার আরও কম হওয়ার কথা। প্রথমে আলোচনা ছিল ৪৫ বছরে সেতুর নির্মাণ খরচ পরিশোধ করা হবে। পরে ১০ বছর কমিয়ে ৩৫ বছর ধরা হয়। বার্ষিক যান চলাচলের গড় হিসাব পর্যালোচনা শেষে টোলের হার চিন্তা করা হচ্ছে।
যানবাহনের শ্রেণিভেদে টোলের হার নির্ধারণ করা হবে। সূত্রমতে, পদ্মা সেতুতে একটি মোটরসাইকেলের টোল হবে ১০৫ টাকা। কার, জিপের মতো হালকা যানবাহনের টোল হবে ৭৫০ টাকা। ছোট বাসের জন্য (২৯ আসন বা তার কম) ২০২৫ টাকা, বড় বাস (৩০ আসন বা তার বেশি) ২৩৭০ টাকা, ছোট ট্রাক (৫ টন বহন ক্ষমতা) ১৬২০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৫ থেকে ৮ টন) ২১০০ টাকা, বড় ট্রাক (৮ টনের বেশি বহন ক্ষমতা) ২৭৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস ১২৯০ টাকা, ট্রেইলার ৪০০০ টাকা (৪ এক্সেল পর্যন্ত)। চার এক্সেলের বেশি ট্রেইলার হলে এক্সেলপ্রতি ১৫০০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ ধরা হবে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

পদ্মা সেতুর টোলের হার নির্ধারণ

আপডেট সময় : ০৯:১৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ সরকারের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুনে গাড়ি চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এ সেতুর নির্মাণ খরচ পরিশোধ করবে সেতু বিভাগ। সেতু দিয়ে চলাচল করা যানবাহন থেকে নেওয়া টোলের টাকা হবে নির্মাণ খরচ পরিশোধের উৎস। এ জন্য এখন পদ্মা সেতুর টোলের হার নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে।
২০২১-২২ অর্থবছর থেকে অর্থ বিভাগকে নির্মাণ খরচের টাকা পরিশোধ শুরু করবে সেতু বিভাগ। ৩৫ বছরের মধ্যে তা পরিশোধের কথা রয়েছে। সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর টাকা ফেরতের জন্য সম্প্রতি অর্থ বিভাগের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ঋণের টাকা চুক্তি অনুযায়ী পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। কত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করবে তা চুক্তিতেই স্পষ্ট করা আছে।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর টোলের হার কী হবে এ নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। অর্থ বিভাগের সঙ্গে গত ২৯ আগস্ট সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তির পর বিষয়টি আরও গুরুত্ব পায়। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার। ১ শতাংশ সুদহারে সুদসহ ঋণ পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে সর্বনিম্ন প্রায় ৮২৬ কোটি থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। এই টাকা আদায় করা হবে টোলের মাধ্যমে। নির্মাণকাজ শেষে গাড়ি চলাচলের ১৫ বছর পর ১০ শতাংশ বা যৌক্তিক হারে টোল বাড়বে বলে অর্থ বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মূল কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। সেতুটি চালু হলে জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুটি চালু হলে ১০ মিনিটেই পদ্মা নদী পাড়ি দেওয়া সম্ভব বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ফেরির মাধ্যমে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাট হয়ে পদ্মা পার হয় যানবাহন। এ জন্য সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। সেতু চালু হলে সময় বাঁচলেও বাড়বে খরচ। কারণ বর্তমানে চলাচলরত ফেরির দেড়গুণ হারে টোল নির্ধারণের প্রস্তাব যাচ্ছে অর্থ বিভাগে। অবশ্য টোলের হার আরও কম হওয়ার কথা। প্রথমে আলোচনা ছিল ৪৫ বছরে সেতুর নির্মাণ খরচ পরিশোধ করা হবে। পরে ১০ বছর কমিয়ে ৩৫ বছর ধরা হয়। বার্ষিক যান চলাচলের গড় হিসাব পর্যালোচনা শেষে টোলের হার চিন্তা করা হচ্ছে।
যানবাহনের শ্রেণিভেদে টোলের হার নির্ধারণ করা হবে। সূত্রমতে, পদ্মা সেতুতে একটি মোটরসাইকেলের টোল হবে ১০৫ টাকা। কার, জিপের মতো হালকা যানবাহনের টোল হবে ৭৫০ টাকা। ছোট বাসের জন্য (২৯ আসন বা তার কম) ২০২৫ টাকা, বড় বাস (৩০ আসন বা তার বেশি) ২৩৭০ টাকা, ছোট ট্রাক (৫ টন বহন ক্ষমতা) ১৬২০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৫ থেকে ৮ টন) ২১০০ টাকা, বড় ট্রাক (৮ টনের বেশি বহন ক্ষমতা) ২৭৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস ১২৯০ টাকা, ট্রেইলার ৪০০০ টাকা (৪ এক্সেল পর্যন্ত)। চার এক্সেলের বেশি ট্রেইলার হলে এক্সেলপ্রতি ১৫০০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ ধরা হবে।