ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৌশলে গ্রাহকের পিন নম্বর জেনে এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করে প্রতারকচক্র

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২২৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত গতকাল শুক্রবার এই আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম বর্তমানে ডিবি হেফাজতে আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আরিফুর রহমান বলেন, আসামি শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করে আসছে। তার নামে ঢাকায় অন্তত তিনটি মামলা থাকার তথ্য মিলেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইসলাম তাদের জানিয়েছে, টাকা তোলার নাম করে ব্যাংকের বুথে অপেক্ষা করতো। কোনো গ্রাহক যখন এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তেন, তখন শহিদুল তাকে সহযোগিতা করার ছুতোয় কৌশলে ওই গ্রাহকের পিন নম্বরটি জেনে নিত এবং আসল এটিএম কার্ডটি নিজের কাছে রেখে নকল একটি কার্ডটি গ্রাহককে ধরিয়ে দিত। এভাবে কয়েক বছর ধরে শহিদুল দুই থেকে তিন লাখ টাকা তুলে নিয়েছে।
প্রতারণার মাধ্যমে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ট্র্যাক থেকে টাকা চুরির অভিযোগে ব্যাংকটির অল্টারনেট ডেলিভারি চ্যানেলের প্রধান মশিউর রহমান বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। মামলায় মশিউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, সংঘবদ্ধ একটি চক্র কৌশলে গ্রাহকের ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড এবং পিন নম্বর সংগ্রহ করে টাকা তুলছে। সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা আগে থেকে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের বুথের ভেতর ও বাইরে অবস্থান করে। এ সময় ব্যাংকের কোনো গ্রাহক টাকা তুলতে গেলে তাঁরা মেশিন নষ্ট হওয়ার অজুহাতে অথবা ভুল পিন নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে থাকে। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা এটিএম কার্ডের গোপন পিন নম্বরটি জেনে নেয়। একই সঙ্গে কৌশলে গ্রাহকের মূল কার্ডটির সঙ্গে অন্য একটি নকল কার্ড অদল-বদল করে থাকে। চক্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই প্রক্রিয়ায় ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা তুলে আসছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

কৌশলে গ্রাহকের পিন নম্বর জেনে এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করে প্রতারকচক্র

আপডেট সময় : ০৮:৫০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত গতকাল শুক্রবার এই আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম বর্তমানে ডিবি হেফাজতে আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আরিফুর রহমান বলেন, আসামি শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করে আসছে। তার নামে ঢাকায় অন্তত তিনটি মামলা থাকার তথ্য মিলেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইসলাম তাদের জানিয়েছে, টাকা তোলার নাম করে ব্যাংকের বুথে অপেক্ষা করতো। কোনো গ্রাহক যখন এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তেন, তখন শহিদুল তাকে সহযোগিতা করার ছুতোয় কৌশলে ওই গ্রাহকের পিন নম্বরটি জেনে নিত এবং আসল এটিএম কার্ডটি নিজের কাছে রেখে নকল একটি কার্ডটি গ্রাহককে ধরিয়ে দিত। এভাবে কয়েক বছর ধরে শহিদুল দুই থেকে তিন লাখ টাকা তুলে নিয়েছে।
প্রতারণার মাধ্যমে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ট্র্যাক থেকে টাকা চুরির অভিযোগে ব্যাংকটির অল্টারনেট ডেলিভারি চ্যানেলের প্রধান মশিউর রহমান বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। মামলায় মশিউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, সংঘবদ্ধ একটি চক্র কৌশলে গ্রাহকের ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড এবং পিন নম্বর সংগ্রহ করে টাকা তুলছে। সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা আগে থেকে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের বুথের ভেতর ও বাইরে অবস্থান করে। এ সময় ব্যাংকের কোনো গ্রাহক টাকা তুলতে গেলে তাঁরা মেশিন নষ্ট হওয়ার অজুহাতে অথবা ভুল পিন নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে থাকে। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা এটিএম কার্ডের গোপন পিন নম্বরটি জেনে নেয়। একই সঙ্গে কৌশলে গ্রাহকের মূল কার্ডটির সঙ্গে অন্য একটি নকল কার্ড অদল-বদল করে থাকে। চক্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই প্রক্রিয়ায় ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা তুলে আসছে।