নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বরিশাল সমস্যা ও সম্ভাবনা গ্রুপে জাহিদ চয়ন নামে এক সদস্য পোষ্ট করেছিলেন যে, ভোলা বরিশাল লিংক রোডের চরকাউয়া থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এই রাস্তাটুকু ফুল স্বরনী করলে কেমন হয়। বরিশালের তৎকালীন সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সরেজমিনে তা পরিদর্শন করে সম্ভাব্যতা যাচাই করে ফুল স্বরনী করার পক্ষে মত দেন এবং দিনক্ষন ঠিক করে বিগত ১৫ জুলাই ২০১৭ তারিখে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বরিশাল ফুল সরণি তৈরি করেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় মোড় (হিরন পয়েন্ট) থেকে চরকাউয়া জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৪.৮ কিলোমিটার সড়কে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল গাছের তিন হাজারের অধিক চারা রোপনের মাধ্যমে এ সরণি বিনির্মানের উদ্যোগ নিয়েছিলো বরিশাল জেলা প্রশাসন। রোপন ও করেছিল কিন্তু তা রক্ষনা – বেক্ষনের অভাবে গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি বিডি ক্লিন বরিশাল এর উদ্যোগে উক্ত মহাসড়কের প্রতি একশত মিটার পরপর রাস্তার দু’পাশেই দু’শতাধিক তালের চারা রোপন করা হয়েছিল।
ফুলের সৌন্দর্য আর সৌরভের কাছে পরাস্থ হয়নি, এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল।
কিন্তু দু’বছরের ব্যবধানে ফুল সরণির গাছগুলো আগাছায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল।
সেই ফুল সরণিকে রক্ষা করতে আজ ১১ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার বিগত বছরের ন্যায় এবারও বিডিক্লিন বরিশাল টিম চরকাউয়া জিরো পয়েন্ট থেকে হিরন পয়েন্ট পর্যন্ত একাধারে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তা দু’পাশে সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে। এসময় শতাধিক বিডি ক্লিন স্বেচ্ছাসেবক রাস্তার দু’পাশে রোপিত চারাগুলোকে ঘিরে থাকা আগাছা পরিষ্কার করে।
বিডি ক্লিনের এ কাজের সাথে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেন— জনাব মাহাবুবুর রহমান মধু, ভাইস্ চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা, বরিশাল ও জনাব আসিফ মইনুর চৌধুরী, এ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি, ডিপার্টমেন্ট অব কোষ্টাল স্টাডিজ এন্ড ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্লাইমেট চেইঞ্জ ফোকাল পারসন, ইউনিসেফ, বরিশাল।