ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল বিএম কলেজের হলে হলে কর্তৃপক্ষের অভিযান, তিনটি কক্ষ সীলগালা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৯১ বার পড়া হয়েছে

শনিবার রাত ১১টার দিকে বরিশাল বিএম কলেজের হলে হলে অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
হল সুপার সহযোগী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির জানান, হলে রুম দখল করে বহিরাগতদের মাদক সেবনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়।
প্রথমে কলেজের অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসে কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযান চালায়। এসময় এ ব্লকের ৩১০ ও ৩০১ এবং বি ব্লকের ২১৫নং কক্ষে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এই রুমগুলোর বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিলো দীর্ঘদিনের। এর মধ্যে ২১৫নং কক্ষ থেকে তাস উদ্ধার করা হয়। আমরা আপাতত এই রুমগুলো সীল করে দিয়েছি। কারো নামে যদি এই কক্ষগুলো এলোটমেন্ট করা থাকে তাহলে পরবর্তীতে তাকে কলেজ অধ্যক্ষ’র সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পর বিবেচনা করা হবে। আমরা হলে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি।
এদিকে এর পরপরই কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল (মুসলিম ছাত্রাবাস) এবং জীবনানন্দ দাশ হলে (হিন্দু ছাত্রাবাস) অভিযান চালায় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, আমরা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলাম। এরপরও আমরা অভিযান চালিয়েছি। হলগুলোর সকল শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিক বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, অশ্বিনী কুমার হলের ৩০১নং রুমটি কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতা দখলে রেখে মাদক ব্যবসা করতো এবং ২১৫নং রুমটি জেলা ছাত্রলীগের এক সহ সভাপতি দখল করে রেখে মাদকসহ জুয়ার আসর বসাতো। অপরদিকে ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল এবং জীবনানন্দ দাশ হলেরও কয়েকটি রুম ছাত্রলীগ নেতাদের দখলে রয়েছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। তবে এই দুই হলে গিয়ে কলেজ প্রশাসন কিছুই পায়নি বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

বরিশাল বিএম কলেজের হলে হলে কর্তৃপক্ষের অভিযান, তিনটি কক্ষ সীলগালা

আপডেট সময় : ১২:১৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯

শনিবার রাত ১১টার দিকে বরিশাল বিএম কলেজের হলে হলে অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
হল সুপার সহযোগী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির জানান, হলে রুম দখল করে বহিরাগতদের মাদক সেবনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়।
প্রথমে কলেজের অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসে কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযান চালায়। এসময় এ ব্লকের ৩১০ ও ৩০১ এবং বি ব্লকের ২১৫নং কক্ষে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এই রুমগুলোর বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিলো দীর্ঘদিনের। এর মধ্যে ২১৫নং কক্ষ থেকে তাস উদ্ধার করা হয়। আমরা আপাতত এই রুমগুলো সীল করে দিয়েছি। কারো নামে যদি এই কক্ষগুলো এলোটমেন্ট করা থাকে তাহলে পরবর্তীতে তাকে কলেজ অধ্যক্ষ’র সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পর বিবেচনা করা হবে। আমরা হলে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি।
এদিকে এর পরপরই কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল (মুসলিম ছাত্রাবাস) এবং জীবনানন্দ দাশ হলে (হিন্দু ছাত্রাবাস) অভিযান চালায় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, আমরা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলাম। এরপরও আমরা অভিযান চালিয়েছি। হলগুলোর সকল শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিক বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, অশ্বিনী কুমার হলের ৩০১নং রুমটি কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতা দখলে রেখে মাদক ব্যবসা করতো এবং ২১৫নং রুমটি জেলা ছাত্রলীগের এক সহ সভাপতি দখল করে রেখে মাদকসহ জুয়ার আসর বসাতো। অপরদিকে ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল এবং জীবনানন্দ দাশ হলেরও কয়েকটি রুম ছাত্রলীগ নেতাদের দখলে রয়েছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। তবে এই দুই হলে গিয়ে কলেজ প্রশাসন কিছুই পায়নি বলে জানা গেছে।