ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ্যে সিনিয়র শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর জুনিয়র সহকর্মীর

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:২৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৯২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে স্থানীয় লোকজন ও শিশু শিক্ষার্থীদের সামনে বিদ্যালয়ের বারান্দায় এক জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে দু’পায়ের মাঝে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করেছেন অপর এক জুনিয়র শিক্ষিকা। এ ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ধরনের ঘটনাকে নৈতিকতার অবক্ষয় দাবি করে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, বরিশালের মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ৯৩ নম্বর পশ্চিম কমিশনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পরীক্ষা চলাকালীন সহকারী জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষিকার সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় অপর এক সহকারী জুনিয়র শিক্ষিকার। একপর্যায়ে শ্রেণি কক্ষের দরজা বন্ধ করে হঠাৎ করেই জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে মারধর শুরু করেন সহকারী জুনিয়র ঐ শিক্ষিকা। পরে তার চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষিকা ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সময় পূণরায় সবার সামনে স্কুলের বারান্দায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে দু’পায়ের মাঝে চেপে ধরে প্রকাশ্যে মারধর করেন জুনিয়র ঐ শিক্ষিকা।
এ ঘটনা স্থানীয় কোন এক ব্যক্তি তার মোবাইল ফোনে একটি ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে তা ফেসবুকে পোস্ট করেন। মূহুর্তেই তা সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকেই বলছেন এটা নৈতিকতার অবক্ষয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, জুনিয়র ওই শিক্ষিকা জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে উপুর করে দুই পায়ের মধ্যে আটকে ধরে এক হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে ও অন্য হাত দিয়ে একের পর এক কিল-ঘুশি মেরে যাচ্ছেন। এ সময় অন্য এক নারী এসে তাদের ছাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা এ দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছে, তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তিনিও হাসপাতালে যান এবং বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী জুনিয়র ওই শিক্ষিকা চলতি বছরের মার্চে এ বিদ্যালয়ে আসেন। তার বাড়ি মুলাদী উপজেলায় হলেও থাকেন বরিশালে। তিনি বিদ্যালয়ে এলেও অনেক বিলম্ব করে আসেন। তার ইচ্ছে মতো চলার কারণে শিক্ষা অফিসে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

প্রকাশ্যে সিনিয়র শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধর জুনিয়র সহকর্মীর

আপডেট সময় : ০৭:২৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে স্থানীয় লোকজন ও শিশু শিক্ষার্থীদের সামনে বিদ্যালয়ের বারান্দায় এক জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে দু’পায়ের মাঝে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করেছেন অপর এক জুনিয়র শিক্ষিকা। এ ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ধরনের ঘটনাকে নৈতিকতার অবক্ষয় দাবি করে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, বরিশালের মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ৯৩ নম্বর পশ্চিম কমিশনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পরীক্ষা চলাকালীন সহকারী জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষিকার সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় অপর এক সহকারী জুনিয়র শিক্ষিকার। একপর্যায়ে শ্রেণি কক্ষের দরজা বন্ধ করে হঠাৎ করেই জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে মারধর শুরু করেন সহকারী জুনিয়র ঐ শিক্ষিকা। পরে তার চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষিকা ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সময় পূণরায় সবার সামনে স্কুলের বারান্দায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে দু’পায়ের মাঝে চেপে ধরে প্রকাশ্যে মারধর করেন জুনিয়র ঐ শিক্ষিকা।
এ ঘটনা স্থানীয় কোন এক ব্যক্তি তার মোবাইল ফোনে একটি ভিডিও দৃশ্য ধারণ করে তা ফেসবুকে পোস্ট করেন। মূহুর্তেই তা সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকেই বলছেন এটা নৈতিকতার অবক্ষয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, জুনিয়র ওই শিক্ষিকা জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে উপুর করে দুই পায়ের মধ্যে আটকে ধরে এক হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে ও অন্য হাত দিয়ে একের পর এক কিল-ঘুশি মেরে যাচ্ছেন। এ সময় অন্য এক নারী এসে তাদের ছাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা এ দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছে, তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তিনিও হাসপাতালে যান এবং বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী জুনিয়র ওই শিক্ষিকা চলতি বছরের মার্চে এ বিদ্যালয়ে আসেন। তার বাড়ি মুলাদী উপজেলায় হলেও থাকেন বরিশালে। তিনি বিদ্যালয়ে এলেও অনেক বিলম্ব করে আসেন। তার ইচ্ছে মতো চলার কারণে শিক্ষা অফিসে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।