ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় ভর্তির চার দিন পর মাদ্রাসার টয়লেটে শিশুর লাশ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরে ভর্তির চার দিন পর মাদ্রাসার টয়লেট থেকে ইমন হোসেন (১০) নামে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার দত্তপাড়া দারুল উলুম ইসলামিয়া একাডেমী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ইমন দত্তপাড়া ইউনিয়নের বঙ্গেশপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ও মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, চারদিন আগে ইমনকে মাদরাসায় ভর্তি করা হয়। কিন্তু সে মাদরাসায় পড়তে চায়নি। তার মা নাজমা বেগম জোর করে ভর্তি করেন। শুক্রবার ফজরের নামাজ পড়ে ইমন সবার সঙ্গে নাস্তা করেছিল। এরপর সে টয়লেটে গিয়ে ভেন্টিলেটারের সঙ্গে রশি ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। মাদরাসার বাবুর্চি ভেন্টিলেটারের সঙ্গে রশি দেখে চিৎকার দেয়। পরে শিক্ষকরা এসে টয়লেটের দরজা ভেঙে মুমূর্ষু অবস্থায় ইমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাদরাসার পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ইমন মাদরাসায় ভর্তি হতে চায়নি। তবুও চারদিন আগে তার মা জোর করে তাকে ভর্তি করিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে যাই । পরে খোঁজ নিয়ে অপমৃত্যুর ঘটনা বলে জানতে পেরেছি। তবে ছাত্রের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় ভর্তির চার দিন পর মাদ্রাসার টয়লেটে শিশুর লাশ

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরে ভর্তির চার দিন পর মাদ্রাসার টয়লেট থেকে ইমন হোসেন (১০) নামে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার দত্তপাড়া দারুল উলুম ইসলামিয়া একাডেমী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ইমন দত্তপাড়া ইউনিয়নের বঙ্গেশপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ও মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, চারদিন আগে ইমনকে মাদরাসায় ভর্তি করা হয়। কিন্তু সে মাদরাসায় পড়তে চায়নি। তার মা নাজমা বেগম জোর করে ভর্তি করেন। শুক্রবার ফজরের নামাজ পড়ে ইমন সবার সঙ্গে নাস্তা করেছিল। এরপর সে টয়লেটে গিয়ে ভেন্টিলেটারের সঙ্গে রশি ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। মাদরাসার বাবুর্চি ভেন্টিলেটারের সঙ্গে রশি দেখে চিৎকার দেয়। পরে শিক্ষকরা এসে টয়লেটের দরজা ভেঙে মুমূর্ষু অবস্থায় ইমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাদরাসার পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ইমন মাদরাসায় ভর্তি হতে চায়নি। তবুও চারদিন আগে তার মা জোর করে তাকে ভর্তি করিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে যাই । পরে খোঁজ নিয়ে অপমৃত্যুর ঘটনা বলে জানতে পেরেছি। তবে ছাত্রের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।