নিউজ ডেস্ক: বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন স্কুলের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দুটি কক্ষে ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে ২০২০ সালের নিয়মিতদের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। দুপুর ১টায় বাংলা প্রথমপত্রের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শেষে ভুলের বিষয়টি ধরা পড়ে। এতে খারাপ ফলের আশঙ্কা করছে ওই কেন্দ্রের অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী।
ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার খবরে হালিমা খাতুন বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস বলেন, ‘কেন্দ্র সচিবসহ যারা ভুল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’ এ ঘটনায় মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথাও বলেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
এ ঘটনায় পরীক্ষা শেষে অন্যান্য কক্ষের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশ্ন মেলাতে গিয়ে ভুলটা ধরা পড়লে কান্নায় ভেঙে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা দেখতে পায়, ভুল প্রশ্নপত্রে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে তারা প্রস্তুতি অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেনি, যা পরীক্ষার ফলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল নগরীর জগদীশ সারস্বত স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে তারা। কারণ ওই প্রশ্নপত্রে তেমন কমন প্রশ্ন ছিল না। এটি যে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র, তাও তারা বুঝতে পারেনি। তারপরও যা কমন পড়েছে সেগুলোর বৃত্ত ভরাট করেছে তারা।
অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা বছর কঠোর পরিশ্রমের পর পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষকদের ভুলে তাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন হুমকিতে পড়েছে। ওই কেন্দ্রের শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকদের কঠোর বিচার দাবি করেন।
সারস্বত স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহে আলম বলেন, ‘হালিমা খাতুন কেন্দ্রের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ভুলে তার প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেনি। শিক্ষকদের ভুলে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এ কারণে তারা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।’ ওই শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন দাবি করেন তিনি।
হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের ভুলেই এমনটি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরাও বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়নের।’
এবার হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে জগদীশ সারস্বত স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দুটি কক্ষের অর্ধ শতাধিক পরীক্ষার্থী ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে।