নিউজ ডেস্ক:: সুলতানা পারভীনকে ডিসি হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে
মোছা. সুলতানা পারভীন কিভাবে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনের মতো কিছু জেলা প্রশাসকের কারণেই সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যেখানে সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চায় সেখানে এমন কিছু জেলা প্রশাসকের কারণে কল্যাণমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আর মোছা. সুলতানা পারভীন কিভাবে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ রবিবার (১৫ই মার্চ) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফরহাদ হোসেন।
কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে আটক ও নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীনের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এছাড়া, প্রাথমিক শাস্তি হিসেবে কুড়িগ্রামের ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমাদের প্রশাসন শক্ত অবস্থানে রয়েছে। প্রশাসন যাতে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশনা আছে বলেও জানান ফরহাদ হোসেন।
সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হন তবে তার সর্বোচ্চ সাজা হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ই মার্চ) মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে এনে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মাদকবিরোধী অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৪৫০ গ্রাম দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি টাস্কফোর্সের।