ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঋণের ছয় মাসের কিস্তি শিথিল করল এনজিও

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০
  • ৪৮২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ছয় মাসের জন্য এনজিও ঋণের কিস্তি শিথিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। জুন পর্যন্ত ঋণগ্রহিতা কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সেটিকে খেলাপি বা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
গতকাল রোববার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমানে করোনা ভাইরাসজনিত কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহিতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
এর আগে গত কয়েকদিন ধরে সোস্যাল মিডিয়ায় এনজিও ও সমিতির কিস্তি শিথিল করার জন্য অনেকেই আলোচনা করে বিভিন্ন পোস্ট দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জ্জি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আপাতত আগামী জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের বিষয়টি রিল্যাক্স করে সার্কুলার দিয়েছি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে প্রয়োজনে এ সুবিধা আরও বাড়ানো হবে।
এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি এনজিও সারা দেশে প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ৩ কোটির বেশি গ্রাহক এই ঋণ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

ঋণের ছয় মাসের কিস্তি শিথিল করল এনজিও

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০

নিউজ ডেস্ক: ছয় মাসের জন্য এনজিও ঋণের কিস্তি শিথিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। জুন পর্যন্ত ঋণগ্রহিতা কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সেটিকে খেলাপি বা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
গতকাল রোববার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমানে করোনা ভাইরাসজনিত কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহিতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
এর আগে গত কয়েকদিন ধরে সোস্যাল মিডিয়ায় এনজিও ও সমিতির কিস্তি শিথিল করার জন্য অনেকেই আলোচনা করে বিভিন্ন পোস্ট দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জ্জি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আপাতত আগামী জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের বিষয়টি রিল্যাক্স করে সার্কুলার দিয়েছি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে প্রয়োজনে এ সুবিধা আরও বাড়ানো হবে।
এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি এনজিও সারা দেশে প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ৩ কোটির বেশি গ্রাহক এই ঋণ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।