নিজস্ব প্রতিবেদন:: বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারনা কভারেজ করতে গিয়ে এবার দুই সাংবাদিক মার খেলেন পুলিশের।
সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে আবদুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতুর ঢালে বরিশাল সদর উপজেলা ইউএনও মো: মোশারফ হোসেনের সামনে দুইজন সাংবাদিক কর্মীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে পুলিশের একাধিক সদস্য। আহত সাংবাদকর্মী দেশ জনপদের শাফিন আহমেদ রাতুল ও দখিনের মুখের নাসির উদ্দিন একাধিকবার তাদের পরিচয়, কার্ড ও সাথে ক্যামেরা দেখালেও নিস্তার মেলেনি পুলিশের লাঠিপেটা থেকে।
সম্পূর্ন ঘটনাটি গাড়িতে বসে অবলোকন করেন ইউএনও। যেখানে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে কার্ড ব্যবহার করার কথা বলেছেন সেখানে কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের লাঠিপেঠা করা হলো জানতে চাইলে ইউএনও জানান, ব্যাপারটি আমি খেয়াল করিনি।
তবে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত। পরবর্তী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুধু সাংবাদিক নয়, কাউকে যেন লাঠিপেটা না করে সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হবে। তিনি আরো বলেন, কাউকে লাঠিপেটা করার কোন নির্দেশনা আমাদের দেওয়া হয়নি।
বুঝানোর মাধ্যমে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশের অভিযোগ সেলে জানানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এ সকল বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহবুদ্দিন খান বলেন, যদি তারা শাররীক নির্যাতন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সে অন্যায় করেছে। করোনোভাইরাস সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কাউকে মারার জন্য বলা হয়নি। সাংবাদিক নির্যাতনে বিষয়ে তদন্ত সাপক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের দাবী জানিয়েছেন বরিশালের সাংবাদিক সমাজ।
নিন্দা জানিয়েছেন, বরিশাল নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশাল তরুণ সাংবাদিক ফোরাম, বরিশাল ফটো সাংবাদিক ফোরাম সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।