সাইফুল ইসলাম::বিশ্বব্যাপী ছড়ানো মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাব থেকে বরিশালকে মুক্ত রাখতে এবং জনগনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিদিনের ন্যায় আজও জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে বরিশাল মহানগরী তথা বৃহত্তর বরিশাল সদর উপজেলায় পৃথক দুটি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অধিক মানুষের সমাগম করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে। জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুদা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মারুফ দস্তোগীর।
এসময় নগরীর সদর রোড, নতুল্লাবাদ, চৌমাথা কাশীপুর, রুপাতলী, বিশ্ববিদ্যালয়, কর্নকাঠী, ও তালুকদার হাট এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুদা। এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তাদেরকে জনসমাগম থেকে বিরত করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয়। এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাদের হুশিয়ার করে দেওয়া হয়।
রুপাতলী বাসস্টান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে চায়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করে চা বিক্রয় করার অপরাধের সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারা অনুযায়ী চায়ের দোকান মালিক মোঃ ইউসুফ কে ২ হাজার টাকা এবং দুই জন ক্রেতা মাহবুব ও নাছির উদ্দিন কে ৫০০ টাকা করে মোট ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই স্থানে মটর সাইকেলে দুই জন যাত্রী পরিবহন করার অপরাধের একই আইনে মোঃ কামাল কে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি দোকানে জনসমাগম করে আড্ডা দেয়ার অপরাধ একই আইনে তিন জন ব্যক্তি রুহুল আমিন, মোঃ বেল্লাল হোসেন, মোঃ এনাম হোসেন কে ৫০০ টাকা করে মোট ১৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পোলের হাট বাজারে একটি অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে একই আইনে মোঃ মিরাজকে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মোট আটজন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এসময় প্রসিকিউসন অফিসার হিসাবে সহযোগিতা করেন স্যানিটারী ইন্সেপক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, বরিশাল সদর মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন এসআই রাজিব রেজা এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম।
অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।