মোঃ শাহাজাদা হিরা :: আজ ১ এপ্রিল বুধবার বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার পৌর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাইকিং করার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে মোবাইল কোর্ট অভিজান পরিচালনা করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর আটককৃকতরা মাইকিং করে এবং ফেসবুকে করোনা সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা সৃস্টির চেস্টা করে। মসজিদের মাইকে এবং ফেসবুকে তারা উল্লেখ করেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যাবেন না, করোনা ভাইরাস নির্মূলে হেলিকপ্টারযোগে স্প্রে করা হবে। এই সময়ে ঘরের বাইরে কোন কাপড়-চোপড় থাকলে তাও দ্রুত ঘরে নিয়ে যান’।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এলে ওই রাতেই অভিযানে নামেন তারা। গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অভিযুক্ত ৬ জনকে আটক করা হয়। এরা হলো গৌরনদী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, বার্থী কলেজের শিক্ষক সালমা আক্তার, বানিয়াছড়ি মসজিদের ইমাম আব্দুল কাদের, উত্তর বিজয়পুর মসজিদের ইমাম হাসান আল-মামুন, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা দিপালী দেবনাথ। এদের মধ্যে ২জন ইমাম ও অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্টকে মসদিজের মাইকে করোনা সম্পর্কে গুজব সৃস্টির অভিযোগে এবং অপর ৩ জনকে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আটক করা হয়।
এদের প্রত্যেককে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ০১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।মোবাইল কোর্ট অভিজান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গৌরনদী ইসরাত জাহান। তিনি জানান, দণ্ডিতরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মাইকিং করে এলাকায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে আসছিল।
এ অপরাধে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কেউ যাতে মিথ্যে তথ্য বা গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি করতে না পারে, সে জন্য জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান।