রোজ মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, সকাল ৬:৩৯


সচিবের গাড়ির অপেক্ষায় প্রায় ৩ ঘণ্টা ফেরি বসে থাকায় এ্যাম্বুলেন্সেই কিশোরের প্রাণ গেল

সচিবের গাড়ির অপেক্ষায় প্রায় ৩ ঘণ্টা ফেরি বসে থাকায় এ্যাম্বুলেন্সেই কিশোরের প্রাণ গেল

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের গাড়ির অপেক্ষায় প্রায় ৩ ঘণ্টা ফেরি বসে থাকায় প্রাণ গেলো অ্যাম্বুলেন্সের রোগীর। আশপাশের লোকজনের অনুরোধের পরও কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ছাড়েনি বলে অভিযোগ স্বজনদের। এমনকি প্রতিকার মেলেনি জরুরি নাম্বার ট্রিপল নাইনে ফোন করেও। তবে এসব অভিযোগ এড়িয়ে গেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
নড়াইল কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনির ছাত্র তিতাস ঘোষ। মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ায় প্রথমে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাকে নেয়া হচ্ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখে দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাতে অর্ধ লক্ষ টাকায় ভাড়া করা হয় আইসিইউ সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্স। রাত আট টায় মাদারীপুরের কাঠালবাড়ী ১নং ফেরী ঘাটে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন কুমিল্লা নামের ফেরিটি ঘাটেই ছিল। কিন্তু নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের এক কর্মকর্তার গাড়ি না আসা পর্যন্ত ফেরি ছাড়তে রাজি হননি ঘাট কর্তৃপক্ষ। কারণ ওই কর্মকর্তার ভিআইপি গাড়ি যাবার বার্তা দিয়েছিলেন মাদারিপুরের খোদ জেলা প্রশাসক ।
এঅবস্থায় মুমুর্ষু তিতাসকে বাঁচাতে স্বজনরা ফোন করেন জরুরী নাম্বার ট্রিপল নাইনে। সাহায্য চান ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও। অভিযোগ আছে, কারও অনুরোধই রাখেননি ঘাট কর্তৃপক্ষ । প্রায় তিন ঘন্টা পর রাত পৌনে ১১ টার দিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো সাদা রংয়ের নোহা মাইক্রোবাসটি আসার পর ফেরি ছাড়ে। ততক্ষনে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। মস্তিস্কে প্রচুর রক্ষরণে মাঝ নদীতে থাকা আম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তিতাসের। অনেক চেষ্টা করেও সময়ের কাছে হেরে গেলেন এ্যাম্বুলেন্সে থাকা চিকিৎসক ও সহকারীরা। তবে ভিআইপি কর্মকর্তার জন্য ফেরি দেরিতে ছাড়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন ঘাট কর্তৃপক্ষ। স্বজনেরা জানান, তিতাস মারা যাওয়ায় আর ঢাকার দিকে না গিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাড়ির দিকে অ্যাম্বুলেন্স ঘুরিয়ে দেন তারা। তবে এমন মৃত্যুর জন্য ওই সরকারি কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিসির ঘাট সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানান স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন-০১৮২২৮১৫৭৪৮

Md Saiful Islam