ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ববির ভিসি প্রো- ভিসি সহ ট্রেজারারের অপসারন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ৬৩৭ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

  • ববির নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।

নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনকে অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর পরই তাকে অপসারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি , বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদকেও অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এএসএম কাসেম স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপণে তাদের অপসারণ করা হয়।

ববির নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। তিনি রাবির ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

এদিকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রাজারারকে অপসারণের খবরে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে। অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারির পর পরই শিক্ষকরা পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান শিক্ষার্থীদের।

২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ ২২ দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পরে ৪ দফা দাবি তোলেন তারা। কিন্তু বার বার আশ্বাস দিয়েও দাবি বাস্তবায়ন করেননি উপাচার্য।

 

বরং আন্দোলন দমাতে প্রথম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা এবং পরবর্তী থানায় আরও একটি সাধারণ ডায়েরি করান উপাচার্য। এর প্রতিবাদে উপাচার্যের অপসারণে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন তারা। দাবি অনুযায়ী সোমবার রাত ১০টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই প্রশাসনিক বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেন চারজন শিক্ষক। এর পরও উপাচার্যকে অপসারণ না করায় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সড়ক অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

 

যা চলে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। অবরোধ শেষ হওয়ার পর পরই আসে ভিসি, প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারারকে অপসারণে প্রজ্ঞাপন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ/২০২৫ খ্রি. এর শুভ উদ্বোধন।

ববির ভিসি প্রো- ভিসি সহ ট্রেজারারের অপসারন

আপডেট সময় : ১২:১৫:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ববির নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।

নিউজ ডেস্ক:

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনকে অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর পরই তাকে অপসারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি , বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদকেও অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এএসএম কাসেম স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপণে তাদের অপসারণ করা হয়।

ববির নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। তিনি রাবির ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

এদিকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রাজারারকে অপসারণের খবরে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে। অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারির পর পরই শিক্ষকরা পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান শিক্ষার্থীদের।

২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ ২২ দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পরে ৪ দফা দাবি তোলেন তারা। কিন্তু বার বার আশ্বাস দিয়েও দাবি বাস্তবায়ন করেননি উপাচার্য।

 

বরং আন্দোলন দমাতে প্রথম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা এবং পরবর্তী থানায় আরও একটি সাধারণ ডায়েরি করান উপাচার্য। এর প্রতিবাদে উপাচার্যের অপসারণে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন তারা। দাবি অনুযায়ী সোমবার রাত ১০টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই প্রশাসনিক বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেন চারজন শিক্ষক। এর পরও উপাচার্যকে অপসারণ না করায় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সড়ক অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

 

যা চলে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। অবরোধ শেষ হওয়ার পর পরই আসে ভিসি, প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারারকে অপসারণে প্রজ্ঞাপন।