ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৫০০ কোটি টাকা ধ্বসে গেল এক বর্ষাতেই

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯
  • ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: মাত্র ছয় মাস! ছয় মাস আগে কর্ণফুলী টানেলের মূল নির্মাণকাজের উদ্বোধনের আগের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি। উদ্বোধনী দিনের প্রস্তুতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আসা নিয়ে প্রকল্প এলাকায় ব্রিফ করছিলেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব আনোয়ারুল ইসলাম।
সুযোগ পেয়ে পাশে থাকা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুচ সালামের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নিয়ে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই, এ প্রেক্ষিতে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ ফ্লাইওভারের যথার্থতা কতটুকু? মানুষ নতুনভাবে দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছে নাতো?’
জবাবে কিছুটা বড়াই করেই সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালামের উত্তর ছিল, ‘আপনার প্রশ্ন বুঝে গেছি…সেসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। মানুষ ঠেকে শেখে, আমরাও শিখেছি। সে জন্যই তো আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আউটার রিং রোড তৈরি করছি। মানুষ পতেঙ্গা থেকে এ সড়ক হয়ে শহরে যাতায়াত করবে।’
গতকাল শনিবার ছিল ১৩ জুলাই। আবদুচ সালামের সেই কথাগুলোর ঠিক ছয় মাস পরের একটি বৃষ্টিস্নাত দিন। সকাল হতেই চট্টগ্রামবাসীর ফেসবুক ওয়ালে ভাসতে থাকে একটি ছবি। ২ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন পতেঙ্গা আউটার রিং রোড কয়েকশ ফুট ধসে গেছে। শুধু সড়ক ধসেই শেষ নয়, সরে গেছে মূল শহর রক্ষা বাঁধের ব্লকগুলোও। প্রশ্ন উঠেছে, বিপুল অর্থ খরচ করে তৈরি সড়কের সিসি ঢালাই নিয়ে। ধসে যাওয়া অংশে দেওয়া হয়েছে যেনতেন সিসি ঢালাই। যেখানে লোহার রড তো দূরের কথা, বাঁশও ব্যবহার হয়নি! এমন সমালোচনায় সারাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে পানির তোড়ে নগরীর পতেঙ্গা থানার খেজুরতলার এলাকায় চট্টগ্রাম শহর রক্ষা বাঁধ কাম আউটার রিং রোডের কয়েকশ ফুট অংশ ধসে যায় শনিবার সকালে। যদিও বহুল আলোচিত এ প্রকল্প নিয়ে নগরবাসীর আগ্রহের শেষ ছিল না। শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক সরে মাটি তলিয়ে যাওয়ায় সিসি ঢালাইয়ে তৈরি ওয়াকওয়েটি ধসে পড়ে। একই কারণে আশপাশের বিশাল অংশ ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন- এমন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় শুধু সিমেন্টের ঢালাই কেন?

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

২৫০০ কোটি টাকা ধ্বসে গেল এক বর্ষাতেই

আপডেট সময় : ১১:০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক: মাত্র ছয় মাস! ছয় মাস আগে কর্ণফুলী টানেলের মূল নির্মাণকাজের উদ্বোধনের আগের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি। উদ্বোধনী দিনের প্রস্তুতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আসা নিয়ে প্রকল্প এলাকায় ব্রিফ করছিলেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব আনোয়ারুল ইসলাম।
সুযোগ পেয়ে পাশে থাকা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুচ সালামের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নিয়ে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই, এ প্রেক্ষিতে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ ফ্লাইওভারের যথার্থতা কতটুকু? মানুষ নতুনভাবে দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছে নাতো?’
জবাবে কিছুটা বড়াই করেই সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালামের উত্তর ছিল, ‘আপনার প্রশ্ন বুঝে গেছি…সেসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। মানুষ ঠেকে শেখে, আমরাও শিখেছি। সে জন্যই তো আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আউটার রিং রোড তৈরি করছি। মানুষ পতেঙ্গা থেকে এ সড়ক হয়ে শহরে যাতায়াত করবে।’
গতকাল শনিবার ছিল ১৩ জুলাই। আবদুচ সালামের সেই কথাগুলোর ঠিক ছয় মাস পরের একটি বৃষ্টিস্নাত দিন। সকাল হতেই চট্টগ্রামবাসীর ফেসবুক ওয়ালে ভাসতে থাকে একটি ছবি। ২ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন পতেঙ্গা আউটার রিং রোড কয়েকশ ফুট ধসে গেছে। শুধু সড়ক ধসেই শেষ নয়, সরে গেছে মূল শহর রক্ষা বাঁধের ব্লকগুলোও। প্রশ্ন উঠেছে, বিপুল অর্থ খরচ করে তৈরি সড়কের সিসি ঢালাই নিয়ে। ধসে যাওয়া অংশে দেওয়া হয়েছে যেনতেন সিসি ঢালাই। যেখানে লোহার রড তো দূরের কথা, বাঁশও ব্যবহার হয়নি! এমন সমালোচনায় সারাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে পানির তোড়ে নগরীর পতেঙ্গা থানার খেজুরতলার এলাকায় চট্টগ্রাম শহর রক্ষা বাঁধ কাম আউটার রিং রোডের কয়েকশ ফুট অংশ ধসে যায় শনিবার সকালে। যদিও বহুল আলোচিত এ প্রকল্প নিয়ে নগরবাসীর আগ্রহের শেষ ছিল না। শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক সরে মাটি তলিয়ে যাওয়ায় সিসি ঢালাইয়ে তৈরি ওয়াকওয়েটি ধসে পড়ে। একই কারণে আশপাশের বিশাল অংশ ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন- এমন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় শুধু সিমেন্টের ঢালাই কেন?