নিউজ ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি’র উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, চ্যানেলে বিপর্যয়ের কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
এই রুটে নাব্য সংকটসহ নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এর আগে নদীভাঙনে শিমুলিয়া ঘাটের ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট বিলীন হয়ে যায়। বালুর বস্তা ফেলে কোনোমতে ঘাট রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। ৩ নম্বর ফেরিঘাট পুনরায় স্থাপন করা হলেও ৪ নম্বর ফেরিঘাট এখনও স্থাপন করা হয়নি। অন্যদিকে, ৩ নম্বর ফেরিঘাটের পাশে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে আবার ভাঙন শুরু হয়। সে কারণে শনিবার থেকে ৩ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এদিকে, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার ৮ দিন পরে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হলেও শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে এক দফা ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, যান নিয়ে রওনা দিলেও চ্যানেলে নাব্য সংকটের কারণে ফেরত আসে ঘাট ছেড়ে যাওয়া দুটি ফেরি। আবার, রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চারটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে যাওয়ার পর ফেরি চলাচল পুনরায় বন্ধ রাখা হয় এবং বিকালে ‘ফেরি কুমিল্লা’ নামের একটি ফেরি ঘাট ছেড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, সকালে ফেরি চলার পর আবার ফেরি চালানো বন্ধ করা হয়। কারণ, এখন চ্যানেলে অনেক বেশি পলি জমেছে। ড্রেজিং করে চ্যানেলের মুখ থেকে পলি অপসারণ করে বিকালে একটি ফেরি চলে। এখন আবার ফেরি চলাচল বন্ধ।
এদিকে, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক গত ২ সেপ্টেম্বর পদ্মা নদীর ড্রেজিং এলাকা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরি চলাচল শুরু হবে। কিন্তু, প্রায় দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হয়ে বরং অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
তিনি বলেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে। বর্তমানে এই নৌরুটে কে-টাইপ ও মিডিয়াম টাইপের ছোট ফেরিগুলো সচল রাখার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা চলছে। যাত্রীদের শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ি ঘাট ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলের জন্য বলা হচ্ছে। কয়েকদিন আমাদের একটু কষ্ট করতে হবে। তবে, শিগগিরই একটি সুন্দর ব্যবস্থা চালু করা হবে। চ্যানেলে ড্রেজিং কাজ চলছে। এক জায়গা থেকে ড্রেজার নিয়ে আরেক জায়গায় বসানো বেশ কষ্টসাধ্য। ১২ জন মানুষের দুই দিন লেগে যায়।
courtesy by banglatribune