ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:১৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
  • ৮২৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনটির একটি সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশের সরকার।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যেহেতু সংসদ অধিবেশন বসছে না, তাই আগামীকালই (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারীর মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে। পরবর্তীতে সলসদ অধিবপশন বসলে আইনটি পাশ কীা হবে।
আইনের ৯/১ ধারায় ধর্ষণের জন্য সাজা ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এটি সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব আজ মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী।সেইসঙ্গে ৯/৪ ধারাতেও সংশোধন আনা হয়েছে। কিছুদিন আগে হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈতবেঞ্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১/গ ধারায় সাধারণ জখম আপোষযোগ্য করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেছিল।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের সকল সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান আইনমন্ত্রী। এর ফলে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোয় সংশোধনী আনা হবে।
এছাড়া নতুন পুরান মিলিয়ে ধর্ষণের সব মামলাগুলোর আইনি প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এই সংশোধনীর কারণে বাংলাদেশে ধর্ষণের হার কমবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি এসেছে, তাই সরকার তা বিবেচনায় নিয়েছে।
গত শুক্রবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ছাত্র, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিক্ষোভ-সমাবেশ করে চলেছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনার খবর আসে।

ছাত্র সংগঠন-সহ বিভিন্ন সংগঠন ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। এসব সমাবেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান প্রচলন করার দাবি তোলা হয়।

ধর্ষণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলনের মুখে সরকার আইন পরিবর্তনের এই পদক্ষেপ নিল।
Courtesy by BBC

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০৫:১৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনটির একটি সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশের সরকার।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যেহেতু সংসদ অধিবেশন বসছে না, তাই আগামীকালই (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারীর মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে। পরবর্তীতে সলসদ অধিবপশন বসলে আইনটি পাশ কীা হবে।
আইনের ৯/১ ধারায় ধর্ষণের জন্য সাজা ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এটি সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব আজ মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী।সেইসঙ্গে ৯/৪ ধারাতেও সংশোধন আনা হয়েছে। কিছুদিন আগে হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈতবেঞ্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১/গ ধারায় সাধারণ জখম আপোষযোগ্য করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেছিল।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের সকল সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান আইনমন্ত্রী। এর ফলে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোয় সংশোধনী আনা হবে।
এছাড়া নতুন পুরান মিলিয়ে ধর্ষণের সব মামলাগুলোর আইনি প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এই সংশোধনীর কারণে বাংলাদেশে ধর্ষণের হার কমবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি এসেছে, তাই সরকার তা বিবেচনায় নিয়েছে।
গত শুক্রবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ছাত্র, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিক্ষোভ-সমাবেশ করে চলেছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনার খবর আসে।

ছাত্র সংগঠন-সহ বিভিন্ন সংগঠন ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। এসব সমাবেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান প্রচলন করার দাবি তোলা হয়।

ধর্ষণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলনের মুখে সরকার আইন পরিবর্তনের এই পদক্ষেপ নিল।
Courtesy by BBC