সরল বিশ্বাসে জীবননাশ। নিজের স্বার্থে সহকর্মী বলী।
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে একই হোটেলে কর্মরত সহকর্মীকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাচাতো ভাইদের শায়েস্তা করার জন্য পোড়াদহ রেল স্টেশনের সাগরের ভাতের হোটেলের কর্মচারী মোঃ নাজমুল ইসলাম, পিতা- মোঃ হানিফ মোল্লা, সাং- কুর্মা, থানা- মিরপুর, জেলা- কুষ্টিয়া। অত্যন্ত সুকৌশলে তার সহকর্মী মোঃ রাতুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে অত্যন্ত সুকৌশলে পাশের গ্রামে ওয়াজ শোনার কথা বলে দুইটি কম্বল সাথে নিয়ে রওনা হয়। ওয়াজ শোনা শেষে আসামি নাজমুল ইসলাম ভিকটিম রাতুলকে নিয়ে মাজিহাট হাজীপাড়ায় নির্মাণাধীন একতলা বিশিষ্ট ফ্লাট বাড়ির রান্না ঘরের মধ্যে বিচালি বিছিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ে। ওই দিন রাতেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে রাতুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং ঘটনাটি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য নাজমুল নিজেও অসুস্থতার ভান করে ঘটনাস্থলে পাশে পড়ে থাকে। অতঃপর রাতুলের চিৎকারে পাশের লোকজন টের পেয়ে দুইজনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং নাজমুল তার চাচাতো ভাইয়ের ঘাড়ে দোষ চাপাতে অসুস্থতার ভান করে তার নাম বলতে থাকেন। রাতুল এখন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
সংবাদ পাওয়া মাত্রই কুষ্টিয়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার দ্রুত পদক্ষেপে রাতুলকে বাঁচাতে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স এবং মিরপুর থানা থেকে পাঁচ ব্যাগ রক্ত ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।