ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবুগঞ্জের কৃতিসন্তান শিল্পপতি ও দানবীর মোঃ আবুল কালাম সাহেবের মৃত্যু, উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া।

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০
  • ৯৫২ বার পড়া হয়েছে

দানবীর মোঃ আবুল কালাম ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলে ৭৬ বছর। বাবুগঞ্জের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি এম এ কালাম দীর্ঘদিন ক্যান্সরের সাথে যুদ্ধকরে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। দানবীর আলহাজ্ব আবুল কালাম গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১ টা ৩০ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি অইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

তিনি দীর্ঘদিন প্যানক্রিয়াস ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ যোহর সেগুনবাগিচা জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার বাদ যোহর বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে সিংহের কাঠী গ্রামের তার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করার কথা জানা গেছে। গত সপ্তাহে ভারতের দিল্লি থেকে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় আসেন।

এম এ কালাম বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠী গ্রামে ১৩৫১ বঙ্গাব্দে ৩ অগ্রহায়ন জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন সরদার ও মাতার নাম মোসাম্মৎ হাজেরা খাতুন। নিজ গ্রামের সিংহেরকাঠী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষ করেন।

তিনি ১৯৬১ সালে বাবুগঞ্জ পাইলট স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিএ কোর্সে ভর্তি হন। তবে ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হওয়ায় তা সম্পন্ন করা হয়নি। ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়ার আগে তিনি বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকুরী করতেন।

পরে ১৯৭২ সালে এক্সেলসিয়র ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড’র প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তিনি নিরসল পরিশ্রমে, এক্সেলসিয়র সুজ, বেঙ্গল বিস্কুট, কেমিকো ফার্মাসহ ৮টির অধিক উৎপাদনমূখী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠানে বাবুগঞ্জসহ দেশের প্রায় ৫ হাজার লোক কর্মরত আছেন। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি সমাজ সেবামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তার অবদান অতুলনীয়। তিনি বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং বাবুগঞ্জ কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেন। তিনি বাবুগঞ্জে কর্মরত সংবাদকর্মীদের পেশাগত সংগঠন বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের অন্যতম দাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকাস্থ বাবুগঞ্জ থানা সমিতির উপদেষ্টা। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক পুত্র সন্তানের জনক(এম এ আসওয়াদ) তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

কার্টেসীঃদৈনিক বরিশাল ২৪.কম

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

© All rights reserved © ধানসিঁড়ি নিউজ
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Diganta IT Ltd.

বাবুগঞ্জের কৃতিসন্তান শিল্পপতি ও দানবীর মোঃ আবুল কালাম সাহেবের মৃত্যু, উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া।

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০

দানবীর মোঃ আবুল কালাম ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলে ৭৬ বছর। বাবুগঞ্জের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি এম এ কালাম দীর্ঘদিন ক্যান্সরের সাথে যুদ্ধকরে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। দানবীর আলহাজ্ব আবুল কালাম গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১ টা ৩০ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি অইন্না ইলাইহে রাজিউন)।

তিনি দীর্ঘদিন প্যানক্রিয়াস ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ যোহর সেগুনবাগিচা জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার বাদ যোহর বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে সিংহের কাঠী গ্রামের তার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করার কথা জানা গেছে। গত সপ্তাহে ভারতের দিল্লি থেকে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় আসেন।

এম এ কালাম বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠী গ্রামে ১৩৫১ বঙ্গাব্দে ৩ অগ্রহায়ন জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন সরদার ও মাতার নাম মোসাম্মৎ হাজেরা খাতুন। নিজ গ্রামের সিংহেরকাঠী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষ করেন।

তিনি ১৯৬১ সালে বাবুগঞ্জ পাইলট স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিএ কোর্সে ভর্তি হন। তবে ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হওয়ায় তা সম্পন্ন করা হয়নি। ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়ার আগে তিনি বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকুরী করতেন।

পরে ১৯৭২ সালে এক্সেলসিয়র ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড’র প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তিনি নিরসল পরিশ্রমে, এক্সেলসিয়র সুজ, বেঙ্গল বিস্কুট, কেমিকো ফার্মাসহ ৮টির অধিক উৎপাদনমূখী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠানে বাবুগঞ্জসহ দেশের প্রায় ৫ হাজার লোক কর্মরত আছেন। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি সমাজ সেবামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তার অবদান অতুলনীয়। তিনি বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে বাবুগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং বাবুগঞ্জ কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেন। তিনি বাবুগঞ্জে কর্মরত সংবাদকর্মীদের পেশাগত সংগঠন বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের অন্যতম দাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকাস্থ বাবুগঞ্জ থানা সমিতির উপদেষ্টা। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক পুত্র সন্তানের জনক(এম এ আসওয়াদ) তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

কার্টেসীঃদৈনিক বরিশাল ২৪.কম