ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে আমার পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই: শিক্ষামন্ত্রী

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
  • ৪৩২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজের পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ সময় তিনি উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে সঠিক তদন্তও চান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে আমার বা আমার পরিবারের আর্থিক কোনো সম্পর্ক নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন দীপু মনি এ দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ ছাড়া আমি সরকারের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। তাই আমাকে রাজনৈতিক এবং আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার করছে। এ ব্যাপারে আমি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি।

দীপু মনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এ বিষয়ে আমার ভাই ও আমাকে রাজনৈতিকভাবে জড়ানো হয়েছে। তবে আমি খুব স্পষ্টভাবে জানাতে চাই- চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে আমার পৈতৃক ভিটায় কোনো জমি হয়তো থাকতে পারে। এ ছাড়া আমার কোনো জমি নেই।’

তিনি বলেন, ‘রিপোর্টে যে নাম এসেছে ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু,তিনি একজন বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক। তিনি আমার বড় ভাই। তিনি একটি হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম করতে কিছু জমি কেনেন। পরে তা হস্তান্তরও করে দেন।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রকাশিত রিপোর্টে আরও কিছু মানুষকে আমার পরিবারের সদস্য বলা হয়েছে। তারা আমার রক্তের পরিবারের সদস্য নয়। কিন্তু তারা আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। আমি জানি না আমার রক্তের পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য কোনো ঝুঁকি নেবেন কিনা! কিন্তু আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য ঝুঁকি নেবেন। আর আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য সারাদেশেই আছেন।

চাঁদপুরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এ বিষয়ে কোনো ইন্ধন আছে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনই আমি কিছু বলতে চাই না। দলীয় ফোরামে এটি উত্থাপন করব।’

জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, জমির মূল্য নির্ধারণ করেন জেলা প্রশাসক। এখানে ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ১৩ জনকে একটি কমিটি করে প্রাক্কলন করা হয়। এর বাজার মূল্য ১৯৩ কোটি টাকা। এর আগে এর প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৫৫৩ কোটি টাকা। আর ১৯৩ কোটি টাকার ২০ গুন কখনোই ৫৫৩ কোটি টাকা নয়, যা গণমাধ্যমে এসেছে।

এটি ভাঙনপ্রবণ জায়গা এখানে স্থাপনা টিকবে না এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের বিষয়েও একই সমস্যার কথা উঠে এসেছিল। আসলে যখনই কোনো বড় প্রকল্প শুরু হচ্ছে তখনই এমন বাধা আসছে।

দীপু মনি আরও বলেন, চাঁদপুর শহর ভাঙনের কারণে অনেক ছোট ও অনেক ঘনবসতি। আমরা জানি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো সমস্যা হলে হাইওয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিবেচনায় আমরা জমিটি পছন্দ করি। এ ছাড়াও আমরা কোথায় জমি পছন্দ করছি এর সঙ্গে প্রশাসনের লোকজনও জড়িত ছিলো। এই জমির সঙ্গে টেকসই বাঁধ রয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ছাড়পত্রও দিয়েছে।

সূত্রঃসময়ের কন্ঠস্বর

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে আমার পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই: শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

নিউজ ডেস্ক: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজের পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ সময় তিনি উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে সঠিক তদন্তও চান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে আমার বা আমার পরিবারের আর্থিক কোনো সম্পর্ক নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন দীপু মনি এ দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ ছাড়া আমি সরকারের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। তাই আমাকে রাজনৈতিক এবং আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার করছে। এ ব্যাপারে আমি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি।

দীপু মনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এ বিষয়ে আমার ভাই ও আমাকে রাজনৈতিকভাবে জড়ানো হয়েছে। তবে আমি খুব স্পষ্টভাবে জানাতে চাই- চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে আমার পৈতৃক ভিটায় কোনো জমি হয়তো থাকতে পারে। এ ছাড়া আমার কোনো জমি নেই।’

তিনি বলেন, ‘রিপোর্টে যে নাম এসেছে ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু,তিনি একজন বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক। তিনি আমার বড় ভাই। তিনি একটি হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম করতে কিছু জমি কেনেন। পরে তা হস্তান্তরও করে দেন।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রকাশিত রিপোর্টে আরও কিছু মানুষকে আমার পরিবারের সদস্য বলা হয়েছে। তারা আমার রক্তের পরিবারের সদস্য নয়। কিন্তু তারা আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। আমি জানি না আমার রক্তের পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য কোনো ঝুঁকি নেবেন কিনা! কিন্তু আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য ঝুঁকি নেবেন। আর আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য সারাদেশেই আছেন।

চাঁদপুরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এ বিষয়ে কোনো ইন্ধন আছে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনই আমি কিছু বলতে চাই না। দলীয় ফোরামে এটি উত্থাপন করব।’

জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, জমির মূল্য নির্ধারণ করেন জেলা প্রশাসক। এখানে ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ১৩ জনকে একটি কমিটি করে প্রাক্কলন করা হয়। এর বাজার মূল্য ১৯৩ কোটি টাকা। এর আগে এর প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৫৫৩ কোটি টাকা। আর ১৯৩ কোটি টাকার ২০ গুন কখনোই ৫৫৩ কোটি টাকা নয়, যা গণমাধ্যমে এসেছে।

এটি ভাঙনপ্রবণ জায়গা এখানে স্থাপনা টিকবে না এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের বিষয়েও একই সমস্যার কথা উঠে এসেছিল। আসলে যখনই কোনো বড় প্রকল্প শুরু হচ্ছে তখনই এমন বাধা আসছে।

দীপু মনি আরও বলেন, চাঁদপুর শহর ভাঙনের কারণে অনেক ছোট ও অনেক ঘনবসতি। আমরা জানি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো সমস্যা হলে হাইওয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিবেচনায় আমরা জমিটি পছন্দ করি। এ ছাড়াও আমরা কোথায় জমি পছন্দ করছি এর সঙ্গে প্রশাসনের লোকজনও জড়িত ছিলো। এই জমির সঙ্গে টেকসই বাঁধ রয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ছাড়পত্রও দিয়েছে।

সূত্রঃসময়ের কন্ঠস্বর