ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে  দলিল ও কবুলিয়ত হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
  • ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদন–বরিশালে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে  দলিল ও কবুলিয়ত হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি।

উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বড় কথা হলো আপনার চিন্তা ভাবনা সঠিক হতে হবে, নিজের স্বার্থ দেখলে হবে না। আমাদের চিন্তা করতে হবে দেশটা যেন ভালোভাবে চলে। এ দেশটা আমাদের, আমরা যদি নিজেরা নিজেদের কাজ সঠিকভাবে না করি তাহলে দেশের উন্নয়ন হবে না। এজন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে, ঘরে বসে থাকবো আর চিন্তা করবো মন্ত্রী কাজ দিলে কাজ করবো, না দিলে করবো না, নিজের প্রচেষ্টা থাকবে না তাতে কিন্তু হবে না। প্রধানমন্ত্রী আজ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে আসছেন, ২০৩০ সালের ভেতরে আমাদের চরম দারিদ্রতা থাকবে না এ লক্ষে কাজ করছি। আমরা সমৃদ্ধশালী দেশ হতে চাই।”


শনিবার (০৪ জুন) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শেখ রাসেল স্মৃতি মিলনায়তনে বরিশাল সদর উপজেলা আয়োজিত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে  দলিল ও কবুলিয়ত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


এসময় তিনি আরো বলেন,জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন আমাদের দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। সে লক্ষ্যে গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে। এর আগে একটা প্রকল্প ছিলো যাদের জমি আছে ঘর নাই, তাদের ঘর বা টাকা দেয়া হয়েছে, আবার এখন যাদের ঘর-জমি কিছুই নাই তাদের ঘর – জমি দেয়া হচ্ছে। যা নিয়ে অনেকগুলো প্রকল্প চলমান বরিশালেও রয়েছে। লামছরিতে আমরা যে গুচ্ছ গ্রাম করছি সেখানে ৬০ জনের বন্দোবস্ত করা ছিলো। প্রথমে ৩১ জনকে দেয়া হয়েছিলো, এখন আবার ২৯ জনকে দিচ্ছি। দুজন মৃত্যুবরণ করায় নাম পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করে সেটি পরবর্তীতে দেয়া হবে। এ সবই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় হচ্ছে। লামছরি ছাড়াও গিলাতলায় ১৮৪ পরিবারকে ঘরবাড়ি দেয়া

হয়েছে, পরে আরো ৬০ টির মতো ঘর দেয়া হয়েছে ওখানে। হিরণনগরে ২১ টি, টুঙ্গীপাড়ায় ১৪ টি, চন্দ্রমোহনে ১০ টি, তালুকদারহাটে ৪ টি দেয়া হয়েছে। আমি যেটা বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা হলো, তিনি কাউকে ‍গৃহহীন দেখতে চান না, সে লক্ষে সরকার, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গীলাতলায় ৬০ টি পরিবারকে সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেই সেলাই মেশিন চালনার জন্য আবার প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। 


তিনি বলেন,যারা ঘর পেলেন, তাদের কিন্তু  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। একবার চিন্তা করুন সারাজীবন কষ্ট করেও কেউ একটা ঘর বানাতে পারেন না, সেখানে প্রধানমন্ত্রী বিনা পয়সায় আপনাদের ঘর দিয়েছে। এজন্যই গোটা পৃথিবীতে তাকে মানবতার মা বলা হয়। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন দেশের উন্নয়ন হবে। তিনি না থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়না। আগে অনেক রাষ্ট্রপ্রধান ছিলো যারা বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারিনি কিন্তু তিনি করেছেন। এ মাসের ২৫ তারিখ পদ্মাসেতু উদ্বোধন হবে। এখন আমাদের আর বরিশাল থেকে ঢাকা যেতে কষ্ট বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এসব কিছুই হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারনে। এই যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের ঘর দিয়েছে, এরকম আগে কেউ দিয়েছে বলেন? দেয়নি তো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা যারা আছেন আপনাদের মাথা গোঁজার ঠাই হয়ে গেছে, এখন আপনাদের নিজের হাতকে শক্তিশালী করেন। কাজ করেণ, যে কাজই হোক করুন। পরিবারের দিকে খেয়াল রাখুন, সন্তানদের লেখাপড়া করান, তাদের দিকে খেয়াল রাখুন। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করুন, তা না করতে পারলে জীবন ব্যর্থতায় ভড়ে উঠবে। 


তিনি বলেন, অনেকে আছে যতটা কাজ না করে তার থেকে বেশি ফলাউ করে, তবে আমি এতে বিশ্বাসী নই। আমার সাথে রাজনৈতিক সহকর্মীরা অনেক সময় ব্যানার দেয়, আমি কিন্তু সবসময় নিরুৎসাহিত করি। কারন তার তো টাকা খরচ হচ্ছে, এটা সে কোথা থেকে পাবে। এরথেকে টাকাটা তার কাছে থাকলে তার জন্য, তার পরিবারের জন্য ভালো হবে।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, বরিশাল শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ টি খাল খননের কাজ হবে। টেন্ডার হয়ে গেছে, আলেচনা করছি কাজ দ্রুত অগ্রসর হবে। আর কাজ দেখভালের জন্য সিটি করপোরেশনের মেয়র সাহেব ও জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি তাদের বলেছি- আপনারা দুজনে মিলে এ খালগুলো খনন করেন। খালগুলো খনন হলে বরিশাল শহরে বর্ষার সময়ে আর হাটু সমান পানি হবে না বলে আশা করছি। কিছুটা হলেও জলাবদ্ধতা কমাতে পারবো বলে আশা করছি।

অনুষ্ঠানে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বরিশাল ল কলেজের সাবেক জিএস ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড.আরিফ বিন ইসলাম, বিসিসি’র ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমীর বিশ্বাস ও বরিশাল সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধুসহ নেতাকর্মীরা।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

বরিশালে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে  দলিল ও কবুলিয়ত হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।

আপডেট সময় : ১০:০৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদন–বরিশালে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে  দলিল ও কবুলিয়ত হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি।

উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বড় কথা হলো আপনার চিন্তা ভাবনা সঠিক হতে হবে, নিজের স্বার্থ দেখলে হবে না। আমাদের চিন্তা করতে হবে দেশটা যেন ভালোভাবে চলে। এ দেশটা আমাদের, আমরা যদি নিজেরা নিজেদের কাজ সঠিকভাবে না করি তাহলে দেশের উন্নয়ন হবে না। এজন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে, ঘরে বসে থাকবো আর চিন্তা করবো মন্ত্রী কাজ দিলে কাজ করবো, না দিলে করবো না, নিজের প্রচেষ্টা থাকবে না তাতে কিন্তু হবে না। প্রধানমন্ত্রী আজ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে আসছেন, ২০৩০ সালের ভেতরে আমাদের চরম দারিদ্রতা থাকবে না এ লক্ষে কাজ করছি। আমরা সমৃদ্ধশালী দেশ হতে চাই।”


শনিবার (০৪ জুন) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শেখ রাসেল স্মৃতি মিলনায়তনে বরিশাল সদর উপজেলা আয়োজিত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে  দলিল ও কবুলিয়ত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


এসময় তিনি আরো বলেন,জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন আমাদের দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। সে লক্ষ্যে গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে। এর আগে একটা প্রকল্প ছিলো যাদের জমি আছে ঘর নাই, তাদের ঘর বা টাকা দেয়া হয়েছে, আবার এখন যাদের ঘর-জমি কিছুই নাই তাদের ঘর – জমি দেয়া হচ্ছে। যা নিয়ে অনেকগুলো প্রকল্প চলমান বরিশালেও রয়েছে। লামছরিতে আমরা যে গুচ্ছ গ্রাম করছি সেখানে ৬০ জনের বন্দোবস্ত করা ছিলো। প্রথমে ৩১ জনকে দেয়া হয়েছিলো, এখন আবার ২৯ জনকে দিচ্ছি। দুজন মৃত্যুবরণ করায় নাম পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করে সেটি পরবর্তীতে দেয়া হবে। এ সবই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় হচ্ছে। লামছরি ছাড়াও গিলাতলায় ১৮৪ পরিবারকে ঘরবাড়ি দেয়া

হয়েছে, পরে আরো ৬০ টির মতো ঘর দেয়া হয়েছে ওখানে। হিরণনগরে ২১ টি, টুঙ্গীপাড়ায় ১৪ টি, চন্দ্রমোহনে ১০ টি, তালুকদারহাটে ৪ টি দেয়া হয়েছে। আমি যেটা বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা হলো, তিনি কাউকে ‍গৃহহীন দেখতে চান না, সে লক্ষে সরকার, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গীলাতলায় ৬০ টি পরিবারকে সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেই সেলাই মেশিন চালনার জন্য আবার প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। 


তিনি বলেন,যারা ঘর পেলেন, তাদের কিন্তু  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। একবার চিন্তা করুন সারাজীবন কষ্ট করেও কেউ একটা ঘর বানাতে পারেন না, সেখানে প্রধানমন্ত্রী বিনা পয়সায় আপনাদের ঘর দিয়েছে। এজন্যই গোটা পৃথিবীতে তাকে মানবতার মা বলা হয়। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন দেশের উন্নয়ন হবে। তিনি না থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়না। আগে অনেক রাষ্ট্রপ্রধান ছিলো যারা বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারিনি কিন্তু তিনি করেছেন। এ মাসের ২৫ তারিখ পদ্মাসেতু উদ্বোধন হবে। এখন আমাদের আর বরিশাল থেকে ঢাকা যেতে কষ্ট বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এসব কিছুই হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারনে। এই যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের ঘর দিয়েছে, এরকম আগে কেউ দিয়েছে বলেন? দেয়নি তো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা যারা আছেন আপনাদের মাথা গোঁজার ঠাই হয়ে গেছে, এখন আপনাদের নিজের হাতকে শক্তিশালী করেন। কাজ করেণ, যে কাজই হোক করুন। পরিবারের দিকে খেয়াল রাখুন, সন্তানদের লেখাপড়া করান, তাদের দিকে খেয়াল রাখুন। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করুন, তা না করতে পারলে জীবন ব্যর্থতায় ভড়ে উঠবে। 


তিনি বলেন, অনেকে আছে যতটা কাজ না করে তার থেকে বেশি ফলাউ করে, তবে আমি এতে বিশ্বাসী নই। আমার সাথে রাজনৈতিক সহকর্মীরা অনেক সময় ব্যানার দেয়, আমি কিন্তু সবসময় নিরুৎসাহিত করি। কারন তার তো টাকা খরচ হচ্ছে, এটা সে কোথা থেকে পাবে। এরথেকে টাকাটা তার কাছে থাকলে তার জন্য, তার পরিবারের জন্য ভালো হবে।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, বরিশাল শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ টি খাল খননের কাজ হবে। টেন্ডার হয়ে গেছে, আলেচনা করছি কাজ দ্রুত অগ্রসর হবে। আর কাজ দেখভালের জন্য সিটি করপোরেশনের মেয়র সাহেব ও জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি তাদের বলেছি- আপনারা দুজনে মিলে এ খালগুলো খনন করেন। খালগুলো খনন হলে বরিশাল শহরে বর্ষার সময়ে আর হাটু সমান পানি হবে না বলে আশা করছি। কিছুটা হলেও জলাবদ্ধতা কমাতে পারবো বলে আশা করছি।

অনুষ্ঠানে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বরিশাল ল কলেজের সাবেক জিএস ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড.আরিফ বিন ইসলাম, বিসিসি’র ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমীর বিশ্বাস ও বরিশাল সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধুসহ নেতাকর্মীরা।