ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোগীকে নিঃস্ব করায় ব্যস্ত প্রাইভেট ক্লিনিক।

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

ধানসিঁড়ি নিউজঃ
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ডাক্তার আর ক্লিনিক চোর পুলিশ খেলা খেলে আসছে। একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে পাড় পাওয়ার চেষ্টা। তবে বর্তমান স্বাস্থ্যখাত নিঃসন্দেহে হলো একটি বানিজ্যিক খাত। তাইতো ব্যাঙের ছাতার মত গজিঁয়ে উঠছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক গুলো। আর হাতিয়ে নিচ্ছে রোগীর সর্বোস্ব তার একটি বাস্তব চিত্র ফেসসবুকের নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করেছেন ডাঃ আশিকুর রহমান। নিম্নে তা হুবহু তুলে ধরা হলঃ

এই ছবিটাকে বলা চলে বাংলাদেশের প্রাইভেট স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র। ডাক্তারদের কাঁধে বন্দুক রেখে কিভাবে ব্যবসায়ী সমাজ মানুষকে লুটেপুটে খাচ্ছে তার উদাহরণ।
বিলটা একজন রোগীর একদিনের( পুরো একদিনও না। ২১ঘন্টা) আই.সি.ইউ বিল। খেয়াল করে দেখুন, ৩৪১৫৫ টাকার বিলে ডাক্তার বাবদ খরচ ২৫০০ টাকা। কনসালটেন্টের ফি ১৫০০ টাকা মানলাম। ডিউটি ডাক্তারের বিল দেখিয়েছে ১০০০ টাকা, একজন রোগীর জন্য। অথচ পুরো আই.সি.ইউ দেখার জন্য একজন ডাক্তার সারাদিনে ৩০০০-৪০০০ টাকার বেশি পায় না!
আই.সি.ইউ সার্ভিসের মধ্যে সিরিন্জ পাম্প, মনিটর, এয়ার ম্যাট্রেস সবই অর্ন্তভুক্ত। অথচ বিল দেখুন! বেডের ভাড়া দিনে ৭৫০০, আবার সেই বেডে যে এয়ার ম্যাট্রেস ব্যবহার করা হচ্ছে তার ভাড়া ঘন্টায় ২০০! মনিটরের খরচ ঘন্টায় ২৫০! ডাকাতি বললেও কম বলা হয়।
আমরা বারবার বলছি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রধান সমস্যা ব্যবস্থাপনার অভাব, সঠিক জায়গায় নজরদারির অভাব। কিন্তু সেদিকে মনযোগ না দিয়ে কায়দা করে ডাক্তার আর রোগীকে মুখোমুখি করিয়ে দেয়া হচ্ছে পরষ্পরের শত্রু হিসেবে। অথচ পকেট ভারী হচ্ছে এসব স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের!

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার হামিদ!

রোগীকে নিঃস্ব করায় ব্যস্ত প্রাইভেট ক্লিনিক।

আপডেট সময় : ১২:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯

ধানসিঁড়ি নিউজঃ
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ডাক্তার আর ক্লিনিক চোর পুলিশ খেলা খেলে আসছে। একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে পাড় পাওয়ার চেষ্টা। তবে বর্তমান স্বাস্থ্যখাত নিঃসন্দেহে হলো একটি বানিজ্যিক খাত। তাইতো ব্যাঙের ছাতার মত গজিঁয়ে উঠছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক গুলো। আর হাতিয়ে নিচ্ছে রোগীর সর্বোস্ব তার একটি বাস্তব চিত্র ফেসসবুকের নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করেছেন ডাঃ আশিকুর রহমান। নিম্নে তা হুবহু তুলে ধরা হলঃ

এই ছবিটাকে বলা চলে বাংলাদেশের প্রাইভেট স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র। ডাক্তারদের কাঁধে বন্দুক রেখে কিভাবে ব্যবসায়ী সমাজ মানুষকে লুটেপুটে খাচ্ছে তার উদাহরণ।
বিলটা একজন রোগীর একদিনের( পুরো একদিনও না। ২১ঘন্টা) আই.সি.ইউ বিল। খেয়াল করে দেখুন, ৩৪১৫৫ টাকার বিলে ডাক্তার বাবদ খরচ ২৫০০ টাকা। কনসালটেন্টের ফি ১৫০০ টাকা মানলাম। ডিউটি ডাক্তারের বিল দেখিয়েছে ১০০০ টাকা, একজন রোগীর জন্য। অথচ পুরো আই.সি.ইউ দেখার জন্য একজন ডাক্তার সারাদিনে ৩০০০-৪০০০ টাকার বেশি পায় না!
আই.সি.ইউ সার্ভিসের মধ্যে সিরিন্জ পাম্প, মনিটর, এয়ার ম্যাট্রেস সবই অর্ন্তভুক্ত। অথচ বিল দেখুন! বেডের ভাড়া দিনে ৭৫০০, আবার সেই বেডে যে এয়ার ম্যাট্রেস ব্যবহার করা হচ্ছে তার ভাড়া ঘন্টায় ২০০! মনিটরের খরচ ঘন্টায় ২৫০! ডাকাতি বললেও কম বলা হয়।
আমরা বারবার বলছি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রধান সমস্যা ব্যবস্থাপনার অভাব, সঠিক জায়গায় নজরদারির অভাব। কিন্তু সেদিকে মনযোগ না দিয়ে কায়দা করে ডাক্তার আর রোগীকে মুখোমুখি করিয়ে দেয়া হচ্ছে পরষ্পরের শত্রু হিসেবে। অথচ পকেট ভারী হচ্ছে এসব স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের!