অনলাইন ডেস্কঃ ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। এটি এই অর্থমন্ত্রী প্রথম বাজেট। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
নতুন বাজেটে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক, কর আরোপের প্রস্তাব আসায় স্মার্টফোন, আইসক্রিম, ভোজ্যতেলসহ কিছু খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে পারে। বিপরীতে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর প্রস্তাবের কারণে সোনা, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রুটি, বিস্কুট ও কৃষি যন্ত্রপাতির মতো পণ্যের দাম কমতে পারে।
যে সব পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্যাকেটজাত তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, আমদানি করা চিনি, গ্লুকোজ, প্রাকৃতিক মধু, বডি স্প্রে, সব ধরনের অলিভ অয়েল, এসি মটর, প্রক্রিয়াজাত মিক্সড খাদ্য, আইসক্রিম, বৈদ্যুতিক মটর, অপটিক্যাল ফাইবার কেবলস, ফ্লাস্ক, বোতল, গ্লাস, রান্নার ওভেন ও চুলা। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
আমদানি করা ভোজ্য তেল এবং প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য এতদিন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি পেয়ে আসছিল। কিন্তু আগামী অর্থবছর থেকে তাতে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
ফলে আমদানি করা প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি তৈজসপত্র, সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, সানফ্লাওয়ার তেল, সরিষার তেলের দাম বাড়তে পারে।
সিগারেট-বিড়ির উপর সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে শলাকার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিড়ি সিগারেটের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করায় এর দাম বাড়তে পারে। এছাড়া মোবাইল সিম ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়া সেবার উপর শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করায় মোবাইলে কথা বলা, টেক্সট পাঠানো ও ডাটা ব্যবহার খরচ বাড়তে পারে।
রেডিও, মোটর সাইকেলের টায়ার ও গাড়ির ১৬ ইঞ্চি সাইজের টায়ারসহ সব ধরনের টিউবের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত ৪৩টি কাঁচামালে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপন ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ এর শুল্ক কমানো হয়েছে।
১৫০ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের পাউরুটি, বিস্কুট ও কেকের উপর এবং স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতিতেও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্বর্ণের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে চার্জার কানেকটর পিন, পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য শিল্পে ব্যবহৃত তিনটি উপকরণ, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, লিফট প্রস্তুতকারী শিল্পে ব্যবহৃত আমদানি করা সকল উপকরণ, কমপ্রেসর প্রস্তুতকারী শিল্পে ব্যবহৃত আমদানি করা সব উপকরণ, জুতা শিল্পের বিভিন্ন উপকরণ।
ফলে এসব পণ্যের দাম কমবে। দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেলের দাম কমবে।
Desing & Developed BY ধানসিঁড়ি আইটি