ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে আইসিসি থেকে তিন মোড়লের দাপটের অবসান হল।

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯
  • ৪১০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজঃ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতিকে নিজেদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক (ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স) কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছে আইসিসি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর এ কমিটিতে ‘তিন মোড়ল’–এর (ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড) দাপটের অবসান ঘটল।

 গত সপ্তাহে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে এ নিয়োগ দেন সংস্থাটির সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর।
ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স আইসিসির অন্যতম শক্তিশালী কমিটি। আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টের বাজেট প্রণয়ন ছাড়াও সদস্যদেশগুলোর মধ্যে অর্থ বণ্টনের দায়িত্বও পালন করে থাকে এ কমিটি।এহসাান মানি প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর এ কমিটিতে ‘তিন মোড়ল’–এর (ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড) দাপটের অবসান ঘটল।

গত ১০ বছরে এই তিন মোড়লের প্রতিনিধিদের বাইরে শুধু একজন ব্যক্তিই এ কমিটির নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন—নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেক প্রধান অ্যালান আইজ্যাক (২০১১-১২)। তবে ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে মূল ক্ষমতাধর করে আইসিসির সংবিধানে যে সংশোধনী আনা হয়েছিল, তখন সংস্থাটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন আইজ্যাক।

এহসান মানি এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির অর্থ-বাণিজ্য কমিটির সভাপতি হলেন। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কমিটির দায়িত্ব পালন করে আইসিসিকে প্রথম সম্প্রচারস্বত্ব চুক্তি এনে দেন এহসান মানি। তখন সে চুক্তির মূল্য ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লন্ডনে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে মানিকে অর্থ-বাণিজ্য কমিটির প্রধান বানানোর সুপারিশ করেছেন স্বয়ং আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর।

আইসিসি প্রশাসনের মধ্যেই বেশ ভালো ক্ষমতা রয়েছে অর্থ-বাণিজ্য কমিটির। ২০১৪ সালে এ কমিটির অংশীদার এন শ্রীনিবাসন, ওয়ালি এডয়ার্ডস ও জাইলস ক্লার্ক (তিনজন যথাক্রমে বিসিসিআই, সিএ ও ইসিবিপ্রধান) মিলে আইসিসির রাজস্বনীতিতে বিতর্কিত সংশোধনী এনেছিলেন। তার আগে ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ প্রতিবছর আইসিসির রাজস্ব আয় থেকে সমান ভাগ পেয়ে এলেও সংশোধনীর পর আয়ের সিংহভাগ গেছে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগারে। ২০১৭ সালে আইসিসি সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে তিন মোড়লের এ রাজস্বনীতি সংশোধন করেন শশাঙ্ক মনোহর।

ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান হওয়ার পাশাপাশি মানি আইসিসির অডিট কমিটিরও একজন সদস্য। ফলে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে মানির হাত থাকবে, যেমন: ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আইসিসি কোন কোন ইভেন্টের আয়োজন করবে, এ সময় সেসব ইভেন্টের সম্প্রচারস্বত্ব চুক্তি নিয়ে কাজ করবেন তিনি

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

অবশেষে আইসিসি থেকে তিন মোড়লের দাপটের অবসান হল।

আপডেট সময় : ০১:০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯

অনলাইন নিউজঃ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতিকে নিজেদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক (ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স) কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছে আইসিসি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর এ কমিটিতে ‘তিন মোড়ল’–এর (ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড) দাপটের অবসান ঘটল।

 গত সপ্তাহে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে এ নিয়োগ দেন সংস্থাটির সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর।
ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স আইসিসির অন্যতম শক্তিশালী কমিটি। আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টের বাজেট প্রণয়ন ছাড়াও সদস্যদেশগুলোর মধ্যে অর্থ বণ্টনের দায়িত্বও পালন করে থাকে এ কমিটি।এহসাান মানি প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর এ কমিটিতে ‘তিন মোড়ল’–এর (ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড) দাপটের অবসান ঘটল।

গত ১০ বছরে এই তিন মোড়লের প্রতিনিধিদের বাইরে শুধু একজন ব্যক্তিই এ কমিটির নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন—নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেক প্রধান অ্যালান আইজ্যাক (২০১১-১২)। তবে ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে মূল ক্ষমতাধর করে আইসিসির সংবিধানে যে সংশোধনী আনা হয়েছিল, তখন সংস্থাটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন আইজ্যাক।

এহসান মানি এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির অর্থ-বাণিজ্য কমিটির সভাপতি হলেন। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কমিটির দায়িত্ব পালন করে আইসিসিকে প্রথম সম্প্রচারস্বত্ব চুক্তি এনে দেন এহসান মানি। তখন সে চুক্তির মূল্য ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লন্ডনে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে মানিকে অর্থ-বাণিজ্য কমিটির প্রধান বানানোর সুপারিশ করেছেন স্বয়ং আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর।

আইসিসি প্রশাসনের মধ্যেই বেশ ভালো ক্ষমতা রয়েছে অর্থ-বাণিজ্য কমিটির। ২০১৪ সালে এ কমিটির অংশীদার এন শ্রীনিবাসন, ওয়ালি এডয়ার্ডস ও জাইলস ক্লার্ক (তিনজন যথাক্রমে বিসিসিআই, সিএ ও ইসিবিপ্রধান) মিলে আইসিসির রাজস্বনীতিতে বিতর্কিত সংশোধনী এনেছিলেন। তার আগে ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ প্রতিবছর আইসিসির রাজস্ব আয় থেকে সমান ভাগ পেয়ে এলেও সংশোধনীর পর আয়ের সিংহভাগ গেছে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগারে। ২০১৭ সালে আইসিসি সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে তিন মোড়লের এ রাজস্বনীতি সংশোধন করেন শশাঙ্ক মনোহর।

ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান হওয়ার পাশাপাশি মানি আইসিসির অডিট কমিটিরও একজন সদস্য। ফলে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে মানির হাত থাকবে, যেমন: ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আইসিসি কোন কোন ইভেন্টের আয়োজন করবে, এ সময় সেসব ইভেন্টের সম্প্রচারস্বত্ব চুক্তি নিয়ে কাজ করবেন তিনি