ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধ্যা পুরুষ মশায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ হবে: দাবি বিজ্ঞানীদের

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৬৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বন্ধ্যা পুরুষ মশাকে কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি বা ‘স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক’ নিয়ে সাভারে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা সম্পূর্ণ করেছেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদ্ধতিটি মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
এই পদ্ধতিতে পুরুষ মশাকে বিশেষ পদ্ধতিতে বন্ধ্যা করে ছাড়া হয় প্রকৃতিতে। এর সঙ্গে সঙ্গমের এর ফলে স্ত্রী মশা ডিম পারলেও তা নিষিক্ত হয় না। এভাবে বাহকের প্রাদুর্ভাব কমায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতাও হ্রাস পায়।
আজ (৩ আগস্ট) সকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাভারে পরমাণু শক্তি কমিশন পরিদর্শনে গেলে তার কাছে এ পদ্ধতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কীট জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীরা। মন্ত্রী শিগগিরই এই পদ্ধতি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে যেভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, এই পদ্ধতি অনেকটা সে রকমই। বিজ্ঞানীদের মতে, পদ্ধতির প্রায়োগিক বিষয়টি গবেষণাগারে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এসআইটি পদ্ধতিতে পুরুষ জাতীয় এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যা করা হয়। এই মশা অবমুক্ত করা হলে সেগুলো স্ত্রী এডিস মশার সঙ্গে মিলিত হয়। আর ওই স্ত্রী এডিস মশা যে ডিম পাড়ে তা থেকে বংশবিস্তার হয় না। এর ফলে এডিস মশার বংশ কমতে থাকে।
বিজ্ঞানীরা জানান, শুধুমাত্র বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে। যেহেতু পুরুষ মশা মানুষকে কামড়ায় না ও ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে না, তাই এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিজ্ঞানীরা বলেন, দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এসআইটি পদ্ধতি যা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত ও পরিবেশবান্ধব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক এম. আজিজুল হক, এনআইবির মহাপরিচালক মো. সলিমুল্লাহ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার হামিদ!

বন্ধ্যা পুরুষ মশায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ হবে: দাবি বিজ্ঞানীদের

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বন্ধ্যা পুরুষ মশাকে কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি বা ‘স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক’ নিয়ে সাভারে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা সম্পূর্ণ করেছেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদ্ধতিটি মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
এই পদ্ধতিতে পুরুষ মশাকে বিশেষ পদ্ধতিতে বন্ধ্যা করে ছাড়া হয় প্রকৃতিতে। এর সঙ্গে সঙ্গমের এর ফলে স্ত্রী মশা ডিম পারলেও তা নিষিক্ত হয় না। এভাবে বাহকের প্রাদুর্ভাব কমায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতাও হ্রাস পায়।
আজ (৩ আগস্ট) সকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাভারে পরমাণু শক্তি কমিশন পরিদর্শনে গেলে তার কাছে এ পদ্ধতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কীট জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীরা। মন্ত্রী শিগগিরই এই পদ্ধতি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে যেভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, এই পদ্ধতি অনেকটা সে রকমই। বিজ্ঞানীদের মতে, পদ্ধতির প্রায়োগিক বিষয়টি গবেষণাগারে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এসআইটি পদ্ধতিতে পুরুষ জাতীয় এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যা করা হয়। এই মশা অবমুক্ত করা হলে সেগুলো স্ত্রী এডিস মশার সঙ্গে মিলিত হয়। আর ওই স্ত্রী এডিস মশা যে ডিম পাড়ে তা থেকে বংশবিস্তার হয় না। এর ফলে এডিস মশার বংশ কমতে থাকে।
বিজ্ঞানীরা জানান, শুধুমাত্র বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে। যেহেতু পুরুষ মশা মানুষকে কামড়ায় না ও ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে না, তাই এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিজ্ঞানীরা বলেন, দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এসআইটি পদ্ধতি যা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত ও পরিবেশবান্ধব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক এম. আজিজুল হক, এনআইবির মহাপরিচালক মো. সলিমুল্লাহ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।