ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানবদেহে করোনার ৬ নম্বর চীনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০
  • ৮৯০ বার পড়া হয়েছে

চীনা গবেষকরা করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপে মানবদেহে পরীক্ষা শুরু করেছেন। ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা আরও মূল্যায়নের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপের এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে রোববার চাইনিজ একাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল বায়োলজি (আইএমবিসিএএমএস) জানিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের অন্তত এক ডজন ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া আরও শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির বিভিন্ন ধাপে রয়েছে। এদিকে, ভাইরাসটি আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ায় সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্ব বর্তমানে একটি নতুন এবং বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিনই ব্যাপক পরিসরের পরীক্ষা উতড়ে যেতে পারেনি। কোনও ভ্যাকসিনের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেতে হলে শেষ অর্থাৎ তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হতে হবে।

চীনের বিজ্ঞানীদের তৈরি অন্তত ছয়টি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। শনিবার আইএমবিসিএএমএস তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটি সেই ছয়টির একটি এবং এটি দ্বিতীয় দফায় মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে আইএমবিসিএএমএস বলেছে, প্রথম ধাপে অন্তত ২০০ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে গত মে মাসে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছিল।

মানবদেহে দ্বিতীয় ধাপের এই পরীক্ষায় মাত্রা এবং সুস্থ মানুষের শরীরে নিরাপদে ভ্যাকসিনটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে কিনা সেটি জানা যাবে। চলতি বছরেই করোনাভাইরাসের যেকোনও একটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য চীন সরকারের প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিন তৈরির প্ল্যান্ট ব্যবহার করে উৎপাদনের আশা প্রকাশ করেছে আইএমবিসিএএমএস।

গত মাসে চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক গ্যাও ফু বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গ্রুপের কিছু মানুষ ২০২০ সাল শেষের আগেই করোনার যেকোনও একটি ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য পেতে পারেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮৯ লাখ এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি।

সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ/২০২৫ খ্রি. এর শুভ উদ্বোধন।

মানবদেহে করোনার ৬ নম্বর চীনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০

চীনা গবেষকরা করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপে মানবদেহে পরীক্ষা শুরু করেছেন। ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা আরও মূল্যায়নের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপের এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে রোববার চাইনিজ একাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল বায়োলজি (আইএমবিসিএএমএস) জানিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের অন্তত এক ডজন ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া আরও শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির বিভিন্ন ধাপে রয়েছে। এদিকে, ভাইরাসটি আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ায় সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্ব বর্তমানে একটি নতুন এবং বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিনই ব্যাপক পরিসরের পরীক্ষা উতড়ে যেতে পারেনি। কোনও ভ্যাকসিনের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেতে হলে শেষ অর্থাৎ তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হতে হবে।

চীনের বিজ্ঞানীদের তৈরি অন্তত ছয়টি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। শনিবার আইএমবিসিএএমএস তাদের তৈরি ভ্যাকসিনটি সেই ছয়টির একটি এবং এটি দ্বিতীয় দফায় মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে আইএমবিসিএএমএস বলেছে, প্রথম ধাপে অন্তত ২০০ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে গত মে মাসে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছিল।

মানবদেহে দ্বিতীয় ধাপের এই পরীক্ষায় মাত্রা এবং সুস্থ মানুষের শরীরে নিরাপদে ভ্যাকসিনটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে কিনা সেটি জানা যাবে। চলতি বছরেই করোনাভাইরাসের যেকোনও একটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য চীন সরকারের প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিন তৈরির প্ল্যান্ট ব্যবহার করে উৎপাদনের আশা প্রকাশ করেছে আইএমবিসিএএমএস।

গত মাসে চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক গ্যাও ফু বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গ্রুপের কিছু মানুষ ২০২০ সাল শেষের আগেই করোনার যেকোনও একটি ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য পেতে পারেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮৯ লাখ এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি।

সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।