ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের প্রথম পেশাদার নারী আলোকচিত্রি সাইদা খানম’র চির বিদায়

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:৫০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
  • ৮৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার নারী আলোকচিত্রি সাইদা খানম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন), সোমবার (১৭ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে তিনি মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

সাইদা খানমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, “সাইদা খানম তার কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।”

সাইদা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও লাইব্রেরি সায়েন্সে মাস্টার্স করেন। বাবা আবদুস সামাদ খান ও মা নাছিমা খাতুন। ১৯৩৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন।

মাত্র ১২ বছর বয়সে তার ছবি তোলায় হাতেখড়ি। যখন মুসলিম পরিবারের নারীরা পড়াশোনা করাই দুরহ বিষয়, তখন ছবি তোলা তো চিন্তাই করা যায় না।

বেগম পত্রিকার মাধ্যমে সাইদা খানম আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তার ছবি ছাপা হয় অবজারভার, ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। আলোকচিত্রী হিসেবে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন তিনি। সত্যজিতের একাধিক ছবিতে আলোকচিত্রী হিসেবেও কাজ করেন তিনি।

দেশের বাইরে ভারত, জাপান, ফ্রান্স, সুইডেন, পাকিস্তান, সাইপ্রাস ও যুক্তরাষ্ট্রে তার তোলা ছবির বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়। জাপানে ইউনেসকো অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার, বেগম পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তি পুরস্কার, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সম্মানসূচক ফেলোসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি পান তিনি।

ছবি তোলার পাশাপাশি লেখালেখি করতেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘ধূলোমাটি’, ‘স্মৃতির পথ বেয়ে’, ‘আমার চোখে সত্যজিৎ রায়’। তিনি বাংলা একাডেমি ও ইউএনএবির আজীবন সদস্য ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

দেশের প্রথম পেশাদার নারী আলোকচিত্রি সাইদা খানম’র চির বিদায়

আপডেট সময় : ১০:৫০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার নারী আলোকচিত্রি সাইদা খানম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন), সোমবার (১৭ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে তিনি মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

সাইদা খানমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, “সাইদা খানম তার কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।”

সাইদা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও লাইব্রেরি সায়েন্সে মাস্টার্স করেন। বাবা আবদুস সামাদ খান ও মা নাছিমা খাতুন। ১৯৩৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন।

মাত্র ১২ বছর বয়সে তার ছবি তোলায় হাতেখড়ি। যখন মুসলিম পরিবারের নারীরা পড়াশোনা করাই দুরহ বিষয়, তখন ছবি তোলা তো চিন্তাই করা যায় না।

বেগম পত্রিকার মাধ্যমে সাইদা খানম আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তার ছবি ছাপা হয় অবজারভার, ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। আলোকচিত্রী হিসেবে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন তিনি। সত্যজিতের একাধিক ছবিতে আলোকচিত্রী হিসেবেও কাজ করেন তিনি।

দেশের বাইরে ভারত, জাপান, ফ্রান্স, সুইডেন, পাকিস্তান, সাইপ্রাস ও যুক্তরাষ্ট্রে তার তোলা ছবির বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়। জাপানে ইউনেসকো অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার, বেগম পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তি পুরস্কার, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সম্মানসূচক ফেলোসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি পান তিনি।

ছবি তোলার পাশাপাশি লেখালেখি করতেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘ধূলোমাটি’, ‘স্মৃতির পথ বেয়ে’, ‘আমার চোখে সত্যজিৎ রায়’। তিনি বাংলা একাডেমি ও ইউএনএবির আজীবন সদস্য ছিলেন।