ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোর একলার খয়রাতেই চার জনের পেট চলে

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
  • ৬০৭ বার পড়া হয়েছে

এস এন পলাশ।। মুই একলা খয়রাত কইরা হারাদিনে যা পাই হেইয়া দিয়াই চাইর জনের পেট চলে। বাড়িঘর তো নাই মোগো কষ্ট সরকার দেখলে মোরে একটা ঘর দেতে।

বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারি গ্রামের মৃত বাবুল হাওলাদারের স্ত্রী ঝুমুর বেগম(৬৩) কথাগু‌লো বল‌ছি‌লেন।

নগরী‌তে তার সা‌থে কথা বলে জানা যায়,
এই বৃদ্ধা বয়সে ভিক্ষা করেই অসুস্থ মেয়ে ও দুই বাকপ্রতিবন্ধি নাতির মুখে ভাত তুলে দিচ্ছেন তি‌নি।

ঝুমুর বেগম আফসোস করে বলেন, সরকার গরীবেরে এতকিছু দেয় আমি কি ইকটু মাথা গোজার ঠাই পামুনা?। আর যারা ঘর পায় তারা কি আমার চাই‌তেও গরীব? স্বামী মরার পর যহন যেহানে দিন কাটলেও আজও হয়নাই মাথা গোজার জায়গা।

ঝুমুর বেগম বর্তমানে বরিশাল নগরীর কাশিপুর হাইস্কুলের পিছনে এক প্রবাসীর জমিতে ঝুপড়ি টং বানিয়ে বসবাস করেন। অসুস্থ মেয়ে ও বাকপ্রতিবন্ধি দুই নাতি ঝুমু‌রের সা‌থেই থা‌কে। ঝুমুর বেগমের স্বামী দিনমজুর বাবুল হাওলাদার প্রায় ২১ বছর আগে মারা যান সেই থেকেই ভিক্ষা করেই জীবনযাপন করছেন তি‌নি।

বছর কয়েক আগে ঝুমু‌রের একমাত্র মেয়ে মায়া আক্তারের সংসারে বাকপ্রতিবন্ধি দুই সন্তান তানজিলা ও হোসেনকে রেখে মার যান মায়ার স্বামী। এর পরপরই অসুস্থতায় ভুগতে থাকেন মায়া। অসুস্থ মেয়ে মায়া ও দুই বাকপ্রতিবন্ধি নাতীকে নিয়ে অনেকটা অসহায় দিন পার করছেন ঝুমুর বেগম।

সরকারের কাছে বৃদ্ধা ঝুমুর বেগমের আকুতি সে যেনো ইকটু মাথা গোজার মত ঠাই পায় যাতে করে অসুস্থ মেয়ে ও দুই বাকপ্রতিবন্ধি নাতীকে নিয়ে থাকতে পারেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

মোর একলার খয়রাতেই চার জনের পেট চলে

আপডেট সময় : ০৫:২২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১

এস এন পলাশ।। মুই একলা খয়রাত কইরা হারাদিনে যা পাই হেইয়া দিয়াই চাইর জনের পেট চলে। বাড়িঘর তো নাই মোগো কষ্ট সরকার দেখলে মোরে একটা ঘর দেতে।

বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারি গ্রামের মৃত বাবুল হাওলাদারের স্ত্রী ঝুমুর বেগম(৬৩) কথাগু‌লো বল‌ছি‌লেন।

নগরী‌তে তার সা‌থে কথা বলে জানা যায়,
এই বৃদ্ধা বয়সে ভিক্ষা করেই অসুস্থ মেয়ে ও দুই বাকপ্রতিবন্ধি নাতির মুখে ভাত তুলে দিচ্ছেন তি‌নি।

ঝুমুর বেগম আফসোস করে বলেন, সরকার গরীবেরে এতকিছু দেয় আমি কি ইকটু মাথা গোজার ঠাই পামুনা?। আর যারা ঘর পায় তারা কি আমার চাই‌তেও গরীব? স্বামী মরার পর যহন যেহানে দিন কাটলেও আজও হয়নাই মাথা গোজার জায়গা।

ঝুমুর বেগম বর্তমানে বরিশাল নগরীর কাশিপুর হাইস্কুলের পিছনে এক প্রবাসীর জমিতে ঝুপড়ি টং বানিয়ে বসবাস করেন। অসুস্থ মেয়ে ও বাকপ্রতিবন্ধি দুই নাতি ঝুমু‌রের সা‌থেই থা‌কে। ঝুমুর বেগমের স্বামী দিনমজুর বাবুল হাওলাদার প্রায় ২১ বছর আগে মারা যান সেই থেকেই ভিক্ষা করেই জীবনযাপন করছেন তি‌নি।

বছর কয়েক আগে ঝুমু‌রের একমাত্র মেয়ে মায়া আক্তারের সংসারে বাকপ্রতিবন্ধি দুই সন্তান তানজিলা ও হোসেনকে রেখে মার যান মায়ার স্বামী। এর পরপরই অসুস্থতায় ভুগতে থাকেন মায়া। অসুস্থ মেয়ে মায়া ও দুই বাকপ্রতিবন্ধি নাতীকে নিয়ে অনেকটা অসহায় দিন পার করছেন ঝুমুর বেগম।

সরকারের কাছে বৃদ্ধা ঝুমুর বেগমের আকুতি সে যেনো ইকটু মাথা গোজার মত ঠাই পায় যাতে করে অসুস্থ মেয়ে ও দুই বাকপ্রতিবন্ধি নাতীকে নিয়ে থাকতে পারেন।