ধানসিঁড়ি নিউজ ডেস্ক।।বরিশালে উদ্বেগজনক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা আক্রান্তের হার তিনদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৫৫ জন।
করোনা প্রাদুভাবের সময় বরিশালকে নিরাপদ মনে করা হলেও সেই বরিশালেই এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। প্রথম দিকে ১জন,২জন আক্রান্ত হয়েছে। আবার কোনদিন আক্রান্তের সংখ্যা শূণ্য ছিল। অথচ গত এক সপ্তাহ ধরে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত তিনদিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৫৫ জন। ১৮ মে ২২ জন, ১৯ মে ১৫ জন এবং আজ ১৮ জন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,২০ মে বরিশাল জেলায় ১৮ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সাগরদী এলাকার সবোচ্চ ৮ জন, সিএন্ডবি, কাউনিয়া, চাঁদমারি, পলাশপুর ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার ১ জন করে ৫ জন, উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটিতে ১ জন করে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ২ জন, বরিশাল জেলা পুলিশের ১ জন সদস্যসহ মোট ১৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২১ জন।
গত ১২ এপ্রিল এ জেলায় প্রথমবারের মতো মেহেন্দীগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে ঐদিনই জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ৬ মে থেকে লকডাউন শিথিল এবং ১০ মে থেকে মার্কেট/ শপিংমলগুলো খুলে দেয়া হলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। করোনা আতংক পিছনে ফেলে কিছু মানুষ পরিবারসহ ঈদ কেনাকাটায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভুলে যায় সামাজিক দুরত্ব, এমনকি মাস্ক ব্যবহারও। অপরদিকে ঢাকা থেকেও মানুষজন বিভিন্ন ভাবে বরিশালে আসতে থাকে। ফলে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপকভাবে।
জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে গত ১২ এপ্রিল থেকে অদ্যাবধি বাবুগঞ্জ উপজেলায় ১২ জন, সদর উপজেলায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক,নার্স ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্রসহ ৭৯ জন, উজিরপুর উপজেলায় ৮ জন, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় ৫ জন, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ৪ জন, বানারীপাড়া,হিজলা ও আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যেকটিতে ৩ জন করে, গৌরনদী ও মুলাদী উপজেলার প্রত্যেকটিতে ২ জন করে মোট ১২১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত ১৩ মে শনাক্ত হওয়া ১ জন মেডিকেল টেকনলজিস্ট সহ করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এ জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ৯ জন চিকিৎসক (ইন্টার্ন চিকিৎসক ৪ জন), ৬ জন নার্স, ১ জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মিলিয়ে সর্বমোট ১৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।