সাইফুল ইসলাম।।মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আনন্দ বাজারস্থ চরফেনুয়া ব্রিজসংলগ্ন জমাদ্দার বাড়ির মাহেব জমাদ্দারের পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান জমাদ্দার চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পথে গত ৫ ই জুন তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৩:১৫ মি. সময় আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন৷
করোনা উপস্বর্গ থাকায় তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা মৃতের দাফন কাজ করতে নারাজ৷ এমতাবস্থায় মৃতের স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সন্দেহ ও মতদ্বৈধতা দূরীকরণের স্বার্থে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মেহেন্দিগঞ্জ পিজুস চন্দ্র দে এর তত্ত্বাবধানে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল WHO’র প্রটোকল মেনে মৃতের লাশ দাফন করেন৷ রাত ০১টা নাগাদ দাফন কাজ সম্পন্ন হয়৷ দাফন কাজে শ্রীপুর ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মোল্লা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
স্বেচ্ছায় দাফন কাজে অংশগ্রহণকারী টিমের সদস্যরা হলেন এইচ এম আল-আমীন, মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,এইচ এম রবিউল ইসলাম,মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও মোহাম্মদ জামাল মাঝি। এছাড়াও মেহেন্দিগঞ্জ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ গোসলসহ সার্বিক বিষয়ে টিমের সদস্যদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ, পিপিই ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেন৷ এসময় আইনশৃংখলা রক্ষার কাজে শ্রীপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যদের একটি সুসজ্জিত দল সহযোগিতা করেন৷
ইউএনও পিজুস চন্দ্র দে বলেন, স্বাস্থ্য সংস্থার মতে মৃত ব্যাক্তির শরীরে ৩/৪ ঘণ্টার বেশি করোনা ভাইরাস জীবিত থাকেনা। তারপরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন/সৎকার করলে সংক্রমণের ভয় থাকে না। তাছাড়া মৃতদেহ দাফন/সৎকার করা ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী অবশ্য করনীয়। আতংকিত না হয়ে সবকিছু জেনে বুঝে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত ব্যাক্তির প্রতি মানবিক আচরণ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।