ঢাকা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল-ঢাকা নৌপথে পরিবহণে নতুন সংযোজন অ্যাডভেঞ্চার-৫

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯
  • ৮৬০ বার পড়া হয়েছে

ধানসিঁড়ি নিউজ:
বরিশাল-ঢাকা নৌপথে ক্যাটামেরিন পদ্ধতির অত্যাধুনিক বিলাসবহুল জলযান অ্যাডভেঞ্চার-৫। দিবা সার্ভিসে অত্যাধুনিক এই নৌযানটি বিকেল ৩টায় বরিশাল নৌবন্দর থেকে ঢাকা সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং পরদিন সকালে বরিশালের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা করবে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ।
তিন বছর আগে অ্যাডভেঞ্চার-৫-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গত ঈদুল ফিতরের আগে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে এটি চলাচল শুরু করে কিছু সমস্যা ও ত্রুটির জন্য চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ত্রুটিগুলো শুধরানোর জন্য ফের নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বছর ধরে নতুন করে নির্মাণ সম্পন্ন করে আবারও যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন থাকায় এ নৌযানটি ৫ থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের তার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মালিকপক্ষ।
সমুদ্রগামী জাহাজের আদলে তৈরি নৌযানটিতে রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া, নামাজের স্থান, ওয়াইফাই সুবিধা এবং এর বাইরের দিকে রয়েছে সুবিশাল বারান্দা, সেখানে দাঁড়িয়ে নদী, পানি, আকাশ আর আশপাশের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। আসনে বসেও উপভোগ করা যাবে বাইরের নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলি।
পুরো নৌযানটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতল নৌযানটিতে ৫৮৫টি আসন রয়েছে। সব শ্রেণির ভাড়া যাত্রীদের আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে। এতে চার ক্যাটাগরির আসন বিন্যাস করেছে। ভিআইপি জোনে প্রতি আসনের ভাড়া এক হাজার টাকা, প্রিমিয়াম ক্লাস ৯০০ টাকা, বিজনেস ক্লাস ৮০০ টাকা এবং ইকোনোমি ক্লাস ৬০০ টাকা।
যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নৌযানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) স্থাপন করা হয়েছে। বয়া, লাইফ জ্যাকেট ও নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও ব্যবস্থা রয়েছে।
নৌযানটির হুইল হাউজে (চালকের কক্ষ) সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়েছে। এর রাডার-সুকান ‘ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক’ ও ম্যানুয়াল দ্বৈত পদ্ধতির। পাশাপাশি এতে আধুনিক রাডার ছাড়াও জিপিএস পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নৌযানটির চলাচলরত নৌপথের এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে গভীরতা ছাড়াও এর আশপাশের অন্য যেকোনো নৌযানের উপস্থিতি চিহ্নিত করতে পারবে। এমনকি ঘনকুয়াশার মধ্যেও করতে পারবে। যার ফলে অধিকতর নির্বিঘ্নে চলাচল সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অর্থাৎ এ জাহাজটিতে সম্ভাব্য সবধরনের প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

বরিশাল-ঢাকা নৌপথে পরিবহণে নতুন সংযোজন অ্যাডভেঞ্চার-৫

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯

ধানসিঁড়ি নিউজ:
বরিশাল-ঢাকা নৌপথে ক্যাটামেরিন পদ্ধতির অত্যাধুনিক বিলাসবহুল জলযান অ্যাডভেঞ্চার-৫। দিবা সার্ভিসে অত্যাধুনিক এই নৌযানটি বিকেল ৩টায় বরিশাল নৌবন্দর থেকে ঢাকা সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং পরদিন সকালে বরিশালের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা করবে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ।
তিন বছর আগে অ্যাডভেঞ্চার-৫-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গত ঈদুল ফিতরের আগে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে এটি চলাচল শুরু করে কিছু সমস্যা ও ত্রুটির জন্য চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ত্রুটিগুলো শুধরানোর জন্য ফের নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বছর ধরে নতুন করে নির্মাণ সম্পন্ন করে আবারও যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন থাকায় এ নৌযানটি ৫ থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের তার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মালিকপক্ষ।
সমুদ্রগামী জাহাজের আদলে তৈরি নৌযানটিতে রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া, নামাজের স্থান, ওয়াইফাই সুবিধা এবং এর বাইরের দিকে রয়েছে সুবিশাল বারান্দা, সেখানে দাঁড়িয়ে নদী, পানি, আকাশ আর আশপাশের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। আসনে বসেও উপভোগ করা যাবে বাইরের নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলি।
পুরো নৌযানটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দ্বিতল নৌযানটিতে ৫৮৫টি আসন রয়েছে। সব শ্রেণির ভাড়া যাত্রীদের আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে। এতে চার ক্যাটাগরির আসন বিন্যাস করেছে। ভিআইপি জোনে প্রতি আসনের ভাড়া এক হাজার টাকা, প্রিমিয়াম ক্লাস ৯০০ টাকা, বিজনেস ক্লাস ৮০০ টাকা এবং ইকোনোমি ক্লাস ৬০০ টাকা।
যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নৌযানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) স্থাপন করা হয়েছে। বয়া, লাইফ জ্যাকেট ও নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও ব্যবস্থা রয়েছে।
নৌযানটির হুইল হাউজে (চালকের কক্ষ) সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়েছে। এর রাডার-সুকান ‘ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক’ ও ম্যানুয়াল দ্বৈত পদ্ধতির। পাশাপাশি এতে আধুনিক রাডার ছাড়াও জিপিএস পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নৌযানটির চলাচলরত নৌপথের এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে গভীরতা ছাড়াও এর আশপাশের অন্য যেকোনো নৌযানের উপস্থিতি চিহ্নিত করতে পারবে। এমনকি ঘনকুয়াশার মধ্যেও করতে পারবে। যার ফলে অধিকতর নির্বিঘ্নে চলাচল সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অর্থাৎ এ জাহাজটিতে সম্ভাব্য সবধরনের প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে।