ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাপ্রয়াণে পণ্ডিত জসরাজ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
  • ৭৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: মহাপ্রয়াণে চলে গেলেন ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের প্রবীণ শিল্পী পণ্ডিত জসরাজ। আমেরিকার নিউ জার্সির বাসভবনে সোমবার সকালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন মেবাতী ঘরানার এই যশ্বসী শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

হিন্দুস্থানি ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীতের পাশাপাশি সেমি-ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীতেও রয়েছে তাঁর স্মরণীয় অবদান। একাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকাতেও পাওয়া গিয়েছে তাঁকে।

১৯৩০ সালের ২৮ জানুয়ারি হরিয়ানার ফতেয়াবাদের পিল মান্দোরি গ্রামে সাঙ্গীতিক পরিবারে জন্ম জসরাজের। বাবা মতিরাম ছিলেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী। গানবাজনার সঙ্গে জসরাজের পরিচয় বাল্যেই। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত এবং তবলার তালিম, পরে তবলা ছেড়ে পুরোপুরি কণ্ঠসঙ্গীতে মনোনিবেশ এবং একাধিক প্রথিতযশা শিল্পীর কাছে তালিম নেন তিনি। মেবাতী ঘরানা ছাড়াও বেশ কিছু অন্য ঘরানার পাঠও নেন তিনি।

১৯৪৬ সালে জসরাজ কলকাতায় চলে আসেন আকাশবাণীতে গান গাওয়ার জন্য। দীর্ঘদিন রেডিওয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর ১৯৫২ সালে তাঁর প্রথম মঞ্চারোহণ ২২ বছর বয়সে নেপালে। এর বছর দশেক পরে তাঁর বিবাহ হয় চলচ্চিত্রকার ভি শান্তারামের কন্যা মধুরা শান্তারামের সঙ্গে। মধুরা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে রামপুর ঘরানার শিল্পী।

আট দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল প্রবীণ এই শিল্পীর। ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘সঙ্গীত-নাটক অকাদেমি’-সহ সরকারি-বেসরকারি বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন জসরাজ। সঙ্গীত পরিবেশনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন নিযুক্ত থেকেছেন সঙ্গীত প্রশিক্ষণের সঙ্গেও।

তাঁর প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঙ্গীত ও চলচিত্র জগতের সম্মাননীয় ব্যাক্তিবর্গ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

মহাপ্রয়াণে পণ্ডিত জসরাজ

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক: মহাপ্রয়াণে চলে গেলেন ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের প্রবীণ শিল্পী পণ্ডিত জসরাজ। আমেরিকার নিউ জার্সির বাসভবনে সোমবার সকালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন মেবাতী ঘরানার এই যশ্বসী শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

হিন্দুস্থানি ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীতের পাশাপাশি সেমি-ক্ল্যাসিক্যাল সঙ্গীতেও রয়েছে তাঁর স্মরণীয় অবদান। একাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকাতেও পাওয়া গিয়েছে তাঁকে।

১৯৩০ সালের ২৮ জানুয়ারি হরিয়ানার ফতেয়াবাদের পিল মান্দোরি গ্রামে সাঙ্গীতিক পরিবারে জন্ম জসরাজের। বাবা মতিরাম ছিলেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী। গানবাজনার সঙ্গে জসরাজের পরিচয় বাল্যেই। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত এবং তবলার তালিম, পরে তবলা ছেড়ে পুরোপুরি কণ্ঠসঙ্গীতে মনোনিবেশ এবং একাধিক প্রথিতযশা শিল্পীর কাছে তালিম নেন তিনি। মেবাতী ঘরানা ছাড়াও বেশ কিছু অন্য ঘরানার পাঠও নেন তিনি।

১৯৪৬ সালে জসরাজ কলকাতায় চলে আসেন আকাশবাণীতে গান গাওয়ার জন্য। দীর্ঘদিন রেডিওয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর ১৯৫২ সালে তাঁর প্রথম মঞ্চারোহণ ২২ বছর বয়সে নেপালে। এর বছর দশেক পরে তাঁর বিবাহ হয় চলচ্চিত্রকার ভি শান্তারামের কন্যা মধুরা শান্তারামের সঙ্গে। মধুরা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে রামপুর ঘরানার শিল্পী।

আট দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল প্রবীণ এই শিল্পীর। ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘সঙ্গীত-নাটক অকাদেমি’-সহ সরকারি-বেসরকারি বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন জসরাজ। সঙ্গীত পরিবেশনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন নিযুক্ত থেকেছেন সঙ্গীত প্রশিক্ষণের সঙ্গেও।

তাঁর প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঙ্গীত ও চলচিত্র জগতের সম্মাননীয় ব্যাক্তিবর্গ।