ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্মার গ্রাসে ফের হুমকির মুখে শিমুলিয়া ঘাট

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:১২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শুরু হওয়া তৃতীয় দফার এ ভাঙনে একটি রেস্টেুরেন্টসহ প্রায় ২০০ বর্গফুট এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে হুমকির মধ্যে রয়েছে নতুন রো রো ফেরিঘাট এলাকা। এ নিয়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটটি এ বছর তিন দফা ভাঙনের কবলে পড়ল।
শনিবার সকালেরদিকে শিমুলিয়া ঘাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রো রো ফেরি ঘাট সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ধীর গতিতে ভেঙে চলেছে ঘাট এলাকা। কখনও কখনও বড় আকারের মাটির চাক ভেঙে পড়ছে নদীতে। ক্রমেই নদীঘাট এলাকা ভেঙে ভেতর দিকে ঢুকে পড়ছে। পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন এলাকার পূর্ব পাশের সাইড ওয়াল ঘেঁসে গড়ে ওঠা কিছু বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ায় তারাও বাড়ির ঘর ভেঙে ট্রলারে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাটের বন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন খান জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আকস্মিক নদী ভাঙন শুরু হয়। এতে রো রো ফেরিঘাটের পশ্চিম পাশের বেশ কিছু জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। একটি খাবার হোটেল পদ্মার গ্রাসে নদীগর্ভে চলে গেছে। বিলীন হয়েছে প্রায় ২০০ বর্গফুট এলাকা। দ্বিতীয় দফা ভাঙনের পরে নতুন করে তৈরি করা রো রো ফেরিঘাটটিও আবার তৃতীয়বারের ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। তবে ভাঙন রোধে বিআইডাব্লিউটিএ বালুর বস্তা ফেলতে শুরু করেছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিসি’র এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রো রো ফেরিঘাটের পাশের ভাসমান ওয়ার্কসপ সংলগ্ন এলাকায় পদ্মার আকস্মিক ভাঙনে একটি রেস্টেুরেন্ট বিলীন হলেও এখন ততটা ঝুঁকির মধ্যে নেই ফেরিঘাট। তবে ভাঙন অব্যাহত থাকায় নতুন করে তৈরি করা ৩ নং রো রো ফেরি ঘাটটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এখনই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ফেরি চলাচলে আবারো অচলবস্থা দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত কোরবানির ঈদের সময় দুই দফা পদ্মার ভাঙনে শিমুলিয়া ঘাটের ৩ নং রো রো ফেরি ঘাট ও ভিআইপি ফেরিঘাটটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। পরে বালুর বস্তা ফেলে ৩ নং রো রো ফেরি ঘাটটি পুনরায় চালু করা হয়।
Courtesy by bangladeshjournal

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার হামিদ!

পদ্মার গ্রাসে ফের হুমকির মুখে শিমুলিয়া ঘাট

আপডেট সময় : ১২:১২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শুরু হওয়া তৃতীয় দফার এ ভাঙনে একটি রেস্টেুরেন্টসহ প্রায় ২০০ বর্গফুট এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে হুমকির মধ্যে রয়েছে নতুন রো রো ফেরিঘাট এলাকা। এ নিয়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটটি এ বছর তিন দফা ভাঙনের কবলে পড়ল।
শনিবার সকালেরদিকে শিমুলিয়া ঘাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রো রো ফেরি ঘাট সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ধীর গতিতে ভেঙে চলেছে ঘাট এলাকা। কখনও কখনও বড় আকারের মাটির চাক ভেঙে পড়ছে নদীতে। ক্রমেই নদীঘাট এলাকা ভেঙে ভেতর দিকে ঢুকে পড়ছে। পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন এলাকার পূর্ব পাশের সাইড ওয়াল ঘেঁসে গড়ে ওঠা কিছু বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ায় তারাও বাড়ির ঘর ভেঙে ট্রলারে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাটের বন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন খান জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আকস্মিক নদী ভাঙন শুরু হয়। এতে রো রো ফেরিঘাটের পশ্চিম পাশের বেশ কিছু জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। একটি খাবার হোটেল পদ্মার গ্রাসে নদীগর্ভে চলে গেছে। বিলীন হয়েছে প্রায় ২০০ বর্গফুট এলাকা। দ্বিতীয় দফা ভাঙনের পরে নতুন করে তৈরি করা রো রো ফেরিঘাটটিও আবার তৃতীয়বারের ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। তবে ভাঙন রোধে বিআইডাব্লিউটিএ বালুর বস্তা ফেলতে শুরু করেছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিসি’র এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রো রো ফেরিঘাটের পাশের ভাসমান ওয়ার্কসপ সংলগ্ন এলাকায় পদ্মার আকস্মিক ভাঙনে একটি রেস্টেুরেন্ট বিলীন হলেও এখন ততটা ঝুঁকির মধ্যে নেই ফেরিঘাট। তবে ভাঙন অব্যাহত থাকায় নতুন করে তৈরি করা ৩ নং রো রো ফেরি ঘাটটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এখনই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ফেরি চলাচলে আবারো অচলবস্থা দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত কোরবানির ঈদের সময় দুই দফা পদ্মার ভাঙনে শিমুলিয়া ঘাটের ৩ নং রো রো ফেরি ঘাট ও ভিআইপি ফেরিঘাটটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। পরে বালুর বস্তা ফেলে ৩ নং রো রো ফেরি ঘাটটি পুনরায় চালু করা হয়।
Courtesy by bangladeshjournal