নিজস্ব প্রতিনিধি: বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জ এলাকায় সুগন্ধা নদীতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (দোয়ারিকা) সেতু ও উজিরপুর এলাকায় সন্ধ্যা নদীতে মেজর এম এ জলিল (শিকারপুর) সেতুতে দীর্ঘ ১৬ বছরেও জ্বলেনি ল্যাম্পপোস্টের বাতি।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এ বিষয়ে কোনো বাতি জ্বালানোর কোনো কার্যকরী পদক্ষেপই নেয়নি। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতু দুটি ব্যবহার করে পুরো দক্ষিণাঞ্চলের লোকজন। একবাক্যে বলা যায় বরিশাল শহরসহ দক্ষিমাঞ্চলের একমাত্র প্রবেশ দ্বার এই সেতু যুগল।
উদ্বোধনের পর থেকেই সেতু দুটির রেলিংয়ের সাথে আলো প্রতিফলক কাগজ (রিফ্লেক্ট কালার পেপার) লাগিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে। ওই রঙিন কাগজে আলোর প্রতিফলনই রাতে পরিবহন চালকদের কাছে সেতুর অবস্থান নিশ্চিত করে। তা দেখেই যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে রাতে সেতু পার হয়। রাতে যান চলাচলের জন্য আলোর কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দোয়ারিকা ও শিকারপুর সেতু দু’টি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
বাতির ব্যবস্থা করতে উদ্বোধনের প্রায় ১১ বছর পরে দোয়ারিকা ও শিকারপুর সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে ওই ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের পরে কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও সেতু দুটিতে আজো জ্বলেনি বাতি।
১১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩৯০ মিটার দীর্ঘ দোয়ারিকা সেতু ও ২৯২ মিটার দীর্ঘ শিকারপুর সেতু। দুই সেতুর মাঝে রয়েছে প্রায় ১১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। কিন্তু পুরো এলাকায় কোনো বাতির ব্যবস্থা ছাড়াই ২০০৩ সালের ১২ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতু দু’টিতে যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুতে স্থাপিত ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো ঝুলে আছে বা ভেঙে পড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা নামলেই সেতু এলাকায় ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেতু এলাকা ফাঁকা থাকায় এবং বাতি না জ্বলায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারীরা প্রায়ই ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে, ঘটে দুর্ঘটনাও।
একাধিক পরিবহন চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেতুতে বাতি না থাকায় রাতে যানবাহন চলাচলে চালকেরা খুবই আতঙ্কে থাকেন। এত দীর্ঘ সময়েও সেতুতে কেন বাতি জ্বলেনি তা এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়।
২টি সেতু ও সেতু এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সড়ক বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করার জন্য
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোড় দাবী জানিয়েছে গাড়ির চালক ও এলাকাবাসী।