ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রিয়া সাহার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:৪২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
  • ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ সংখ্যালঘুদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগকারী বাংলাদেশি নারী প্রিয়া সাহার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তার সহকর্মীসহ কার কার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন, সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। এছাড়া তিনি সর্বশেষ কোন কোন দেশে কী কারণে গিয়েছেন- সেসব তথ্যও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পেছনে দেশি-বিদেশি কারও ইন্ধন আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’’
প্রিয়া সাহার এমন বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমার মনে হয় এ ধরনের অসত্য খবর দেয়ার পেছনে নিশ্চয়ই একটা কারণ থাকতে পারে। তার একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সেই উদ্দেশ্যটা কী সেটাও দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করব -কখন, কোথায় এবং কীভাবে হলো এটা? নিশ্চয়ই তিনি একটা উত্তর দেবেন, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল ওই সূত্র জানায়, প্রিয়া সাহার বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে এসেছে। আগে থেকেই কূটনীতিকভাবে তার বিষয়টি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। তবে শুক্রবার ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তৎপর হয় সব সংস্থা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, প্রিয়ার অভিযোগ বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এতে বাংলাদেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে তার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঢাকায় থাকা অবস্থায় কার কার সঙ্গে উনি কথা বলেছেন, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার কল ডিটেইলড রেকর্ড (সিডিআর) সংগ্রহ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগের কয়েক দিন তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, সেই তথ্যও সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কয়েকজন নেতার সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। তবে তারা পুলিশকে জানিয়েছে, সাংগঠনিকভাবে প্রিয়াকে এ ধরনের কোনো কথা বলতে বলা হয়নি।’

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

প্রিয়া সাহার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

আপডেট সময় : ১১:৪২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ সংখ্যালঘুদের নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগকারী বাংলাদেশি নারী প্রিয়া সাহার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তার সহকর্মীসহ কার কার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন, সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। এছাড়া তিনি সর্বশেষ কোন কোন দেশে কী কারণে গিয়েছেন- সেসব তথ্যও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পেছনে দেশি-বিদেশি কারও ইন্ধন আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।
প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’’
প্রিয়া সাহার এমন বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমার মনে হয় এ ধরনের অসত্য খবর দেয়ার পেছনে নিশ্চয়ই একটা কারণ থাকতে পারে। তার একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সেই উদ্দেশ্যটা কী সেটাও দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করব -কখন, কোথায় এবং কীভাবে হলো এটা? নিশ্চয়ই তিনি একটা উত্তর দেবেন, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল ওই সূত্র জানায়, প্রিয়া সাহার বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সরকারের কাছে এসেছে। আগে থেকেই কূটনীতিকভাবে তার বিষয়টি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। তবে শুক্রবার ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তৎপর হয় সব সংস্থা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, প্রিয়ার অভিযোগ বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এতে বাংলাদেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে তার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঢাকায় থাকা অবস্থায় কার কার সঙ্গে উনি কথা বলেছেন, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার কল ডিটেইলড রেকর্ড (সিডিআর) সংগ্রহ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগের কয়েক দিন তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, সেই তথ্যও সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কয়েকজন নেতার সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। তবে তারা পুলিশকে জানিয়েছে, সাংগঠনিকভাবে প্রিয়াকে এ ধরনের কোনো কথা বলতে বলা হয়নি।’