ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এডিশ মশা নিধনে ধোঁয়া অকার্যকর: ডব্লিউএইচও

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০১৯
  • ২২১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান কীটতত্ত্ববিদ ডা. ভুপেন্দর নাগপাল সোমবার বলেছেন, মেশিনের মাধ্যমে রাস্তায় ধোঁয়া দিয়ে এডিস মশা মারা যাবে না।
মশা নিধনে অ্যারোসলের ব্যবহার বেশি কার্যকর হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুরোপুরিভাবে ধোঁয়া ব্যবহারের সুপারিশ বন্ধ করে দিয়েছে, সমস্যা হলো এ মশা ধোঁয়ার মধ্যে আসে না, তারা শহরের বাড়িগুলোর ভেতরেই থেকে যায়।’
রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. নাগপাল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধোঁয়ার মধ্যে ৯৫ শতাংশ তেল (ডিজেল, কেরোসিন ইত্যাদি) আর পাঁচ শতাংশ কীটনাশক রয়েছে। এ মশাগুলো (এডিস) ঘরবাড়ির ভেতরে থাকে, ফলে রাস্তায় ধোঁয়া প্রয়োগ করে তাদের কিছু হয় না।’
ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস ইজিপ্টির পানিতে ডিম দেয়াকে প্রচলিত মিথ বলে আখ্যায়িত করেন কীটতত্ত্ববিদ নাগপাল।
তিনি বলেন, এ মশাগুলো খুবই চতুর। একটি নারী এডিশ মশা পাত্রের ওপরের অংশে ডিম দেয়। অনুকূল পরিস্থিতিতে এ ডিমগুলো এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
এডিশ মশার জন্মের জন্য দুই মিলিলিটার পানি পর্যাপ্ত উল্লেখ করে ডা. নাগপাল বলেন, পরিত্যক্ত ও অবহেলিত এলাকাগুলোতে সাধারণত এরা জন্ম নেয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেঙ্গু হুমকি দূর করার জন্য মানুষের সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করা প্রয়োজন

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

এডিশ মশা নিধনে ধোঁয়া অকার্যকর: ডব্লিউএইচও

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান কীটতত্ত্ববিদ ডা. ভুপেন্দর নাগপাল সোমবার বলেছেন, মেশিনের মাধ্যমে রাস্তায় ধোঁয়া দিয়ে এডিস মশা মারা যাবে না।
মশা নিধনে অ্যারোসলের ব্যবহার বেশি কার্যকর হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুরোপুরিভাবে ধোঁয়া ব্যবহারের সুপারিশ বন্ধ করে দিয়েছে, সমস্যা হলো এ মশা ধোঁয়ার মধ্যে আসে না, তারা শহরের বাড়িগুলোর ভেতরেই থেকে যায়।’
রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. নাগপাল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধোঁয়ার মধ্যে ৯৫ শতাংশ তেল (ডিজেল, কেরোসিন ইত্যাদি) আর পাঁচ শতাংশ কীটনাশক রয়েছে। এ মশাগুলো (এডিস) ঘরবাড়ির ভেতরে থাকে, ফলে রাস্তায় ধোঁয়া প্রয়োগ করে তাদের কিছু হয় না।’
ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস ইজিপ্টির পানিতে ডিম দেয়াকে প্রচলিত মিথ বলে আখ্যায়িত করেন কীটতত্ত্ববিদ নাগপাল।
তিনি বলেন, এ মশাগুলো খুবই চতুর। একটি নারী এডিশ মশা পাত্রের ওপরের অংশে ডিম দেয়। অনুকূল পরিস্থিতিতে এ ডিমগুলো এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
এডিশ মশার জন্মের জন্য দুই মিলিলিটার পানি পর্যাপ্ত উল্লেখ করে ডা. নাগপাল বলেন, পরিত্যক্ত ও অবহেলিত এলাকাগুলোতে সাধারণত এরা জন্ম নেয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেঙ্গু হুমকি দূর করার জন্য মানুষের সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করা প্রয়োজন