ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উৎসব পালন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৮ ভাদ্র, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ (২৪ আগস্ট, ২০১৯) সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করছেন তাঁদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উৎসব।

বরিশালের পুরো সদর রোড জুড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আর মানবমেলায় একাকার। বিভিন্ন এলাকা/মহল্লা থেকে বাহারি সাজে, রংয়ে, ঢংয়ে, নেচে-গেয়ে হাজারও ভক্তবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন এই শোভাযাত্রা।

উৎসবের উদ্ভোদন ঘোষনা করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সম্মনিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ –এর পক্ষে প্যানেল মেয়র জনাব গাজী নঈমুল হোসেন লিটু (কাউন্সিলর, ১৯ নং ওয়ার্ড)। গাজী নঈমুল হোসেন লিটু মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন এবং সুন্দর সমাজ গড়ায় ধর্মীয় রীতি-নীতি ও অনুশাসন মেনে চলতে আহবান জানান।

উৎসবে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

কেন এত গুরুত্বপূর্ণ জন্মাষ্টমী?
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। শাস্ত্রীয় বিধিতে বলা হয়েছে এই তিথির রোহিনী নক্ষত্রে জন্ম হয়েছিল শ্রী কৃষ্ণের। যিনি দুষ্টের দমন, আর শিষ্টের পালনের মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন তাঁর বহু ভক্তকে।
কৃষ্ণের জন্মকাহিনি, জীবন নিয়ে উত্সাহের অবকাশ নেই। হিন্দু পুরাণের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র কৃষ্ণ। মহাভারত, ভাগবত গীতা, বৈষ্ণব পদাবলী জুড়ে যার বিচরণ।

শ্রীকৃষ্ণকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তারা বিশ্বাস করেন, পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই এ মহাবতার স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। হিন্দু পুরাণমতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টম তিথিতে শ্রী কৃষ্ণ জন্ম নেন। সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। ধর্মগ্রন্থ গীতাও সেই সাক্ষ্য দেয়।

শাস্ত্রে আছে, কেউ যদি এক বার শ্রীকৃষ্ণের এই জন্মাষ্টমী উপবাস পালন করেন, তা হলে তাঁকে আর এই জড় জগতে জন্ম, মৃত্যু, ব্যাধি, কষ্ট ভোগ করতে হয় না ও পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয় না। বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয় । এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

বরিশালে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উৎসব পালন

আপডেট সময় : ১২:৪১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৮ ভাদ্র, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ (২৪ আগস্ট, ২০১৯) সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করছেন তাঁদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উৎসব।

বরিশালের পুরো সদর রোড জুড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আর মানবমেলায় একাকার। বিভিন্ন এলাকা/মহল্লা থেকে বাহারি সাজে, রংয়ে, ঢংয়ে, নেচে-গেয়ে হাজারও ভক্তবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছেন এই শোভাযাত্রা।

উৎসবের উদ্ভোদন ঘোষনা করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সম্মনিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ –এর পক্ষে প্যানেল মেয়র জনাব গাজী নঈমুল হোসেন লিটু (কাউন্সিলর, ১৯ নং ওয়ার্ড)। গাজী নঈমুল হোসেন লিটু মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন এবং সুন্দর সমাজ গড়ায় ধর্মীয় রীতি-নীতি ও অনুশাসন মেনে চলতে আহবান জানান।

উৎসবে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

কেন এত গুরুত্বপূর্ণ জন্মাষ্টমী?
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। শাস্ত্রীয় বিধিতে বলা হয়েছে এই তিথির রোহিনী নক্ষত্রে জন্ম হয়েছিল শ্রী কৃষ্ণের। যিনি দুষ্টের দমন, আর শিষ্টের পালনের মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন তাঁর বহু ভক্তকে।
কৃষ্ণের জন্মকাহিনি, জীবন নিয়ে উত্সাহের অবকাশ নেই। হিন্দু পুরাণের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র কৃষ্ণ। মহাভারত, ভাগবত গীতা, বৈষ্ণব পদাবলী জুড়ে যার বিচরণ।

শ্রীকৃষ্ণকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তারা বিশ্বাস করেন, পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই এ মহাবতার স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। হিন্দু পুরাণমতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টম তিথিতে শ্রী কৃষ্ণ জন্ম নেন। সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। ধর্মগ্রন্থ গীতাও সেই সাক্ষ্য দেয়।

শাস্ত্রে আছে, কেউ যদি এক বার শ্রীকৃষ্ণের এই জন্মাষ্টমী উপবাস পালন করেন, তা হলে তাঁকে আর এই জড় জগতে জন্ম, মৃত্যু, ব্যাধি, কষ্ট ভোগ করতে হয় না ও পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয় না। বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয় । এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়।