ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাগর সৈকতে ঘুরতে এসে ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ছবি তোলা কতটা নিরাপদ?

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:২০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০
  • ১৭১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাগর বিধৌত ব-দ্বীপ অঞ্চল বাংলাদেশে রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ইনানী বীচ, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ অসংখ্য সৈকত। সৈকতগুলোতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগেনা থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পর্যটকদের সমাগমে পূর্ণ সমুদ্র সৈকত ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র নির্ভর হরেক রকম পেশাজীবীর উদ্ভব হয়। এর মধ্যে ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফার উল্লেখযোগ্য। একএকটি স্পটে অসংখ্য ফটোগ্রাফার ক্যামেরা কাধে নিয়ে পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য ঘুরতে থাকে, পর্যটকদের ভালো মানের ছবি তুলতে উৎসাহিত করে থাকে। যারা ছবি তুলতে আগ্রহী হন, ছবি তুলে তাৎক্ষণিক তাদের মোবাইলে ট্রান্সফার করে দেয়। ফটোগ্রাফার প্রতিটি ছবি ৫ টাকা হিসেবে মূল্য নেয়, এতে একজন ফটোগ্রাফার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে। আর এ আয় দিয়ে তাদের সংসার চলে।

ফটোগ্রাফার আগ্রহী গ্রাহকের ছবি তুলতে ক্যামেরা ক্লিক করতেই থাকে। তারপর ভালোমন্দ সব ছবি গ্রাহকের মোবাইলে ট্রান্সফার করে প্রতি ক্লিক হিসাবে টাকা দাবি করে। এতে দেখা যায় মূলত: গ্রাহক ৪/৫টি ছবি তুলেছে। কিন্তু ফটোগ্রাফার ৪/৫টি ছবির জন্য অসংখ্য ক্লিক করে সেই হিসেবে অনেক টাকা দাবী করে আর এ বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের বিতর্ক ও ঝামেলার সৃষ্টি হয়ে। তাই বিরম্বনা এড়াতে আগে থেকেই ফটোগ্রাফারের সাথে কথা বলে নিতে হবে।


সাগর সৈকতে ঘুরতে গিয়ে অনেকেই সৈকতের ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরায় অন্তরঙ্গ-স্মরণীয় মূহুর্তগুলি ক্যামেরাবন্দী করিয়ে তা নিজ মোবাইলে নিয়ে থাকেন। ভ্রাম্যমান এই ফটোগ্রাফারদের কাছে ছবি তুলতে গেলে গ্রাহকের নিরাপত্তার স্বার্থে যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো- গ্রাহকের ছবিটি ক্যামেরাম্যান তার ক্যামেরা থেকে ডিলেট করলো কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। সে যদি ছবি ডিলেট করেও এবং ব্যাকআপ রেখে দেয় তাতেও কিন্তু গ্রাহক নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। কেননা, সব ফটোগ্রাফার সততা বজায় নাও রাখতে পারে। সাইবার ক্রাইমারদের সাথে কারো কারো যোগাযোগ নেই এমনটি নিশ্চিৎ করে বলাও যায় না। গ্রাহকের অন্তরঙ্গ কোনো ছবি দিয়ে সে যে কোনো সমস্যায় ফেলতে পারে। তাই নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ছবি তোলার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে বিশেষ করে মহিলাদের।


কক্সবাজার ও ইনানী বীচে ঘুরতে আসা ছবি তুলতে আগ্রহী একাধিক পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের ক্যামেরা থেকে ছবি ডিলেটের বিষয়টি তারা সেরকম ভেবে দেখেননি। তবে পরবর্তীতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেন। ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারদের হাতে কোনো পর্যটক যাতে এ ধরণের সমস্যার সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তারা অনুরোধ জানান।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

সাগর সৈকতে ঘুরতে এসে ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ছবি তোলা কতটা নিরাপদ?

আপডেট সময় : ১০:২০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাগর বিধৌত ব-দ্বীপ অঞ্চল বাংলাদেশে রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ইনানী বীচ, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ অসংখ্য সৈকত। সৈকতগুলোতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগেনা থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পর্যটকদের সমাগমে পূর্ণ সমুদ্র সৈকত ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র নির্ভর হরেক রকম পেশাজীবীর উদ্ভব হয়। এর মধ্যে ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফার উল্লেখযোগ্য। একএকটি স্পটে অসংখ্য ফটোগ্রাফার ক্যামেরা কাধে নিয়ে পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য ঘুরতে থাকে, পর্যটকদের ভালো মানের ছবি তুলতে উৎসাহিত করে থাকে। যারা ছবি তুলতে আগ্রহী হন, ছবি তুলে তাৎক্ষণিক তাদের মোবাইলে ট্রান্সফার করে দেয়। ফটোগ্রাফার প্রতিটি ছবি ৫ টাকা হিসেবে মূল্য নেয়, এতে একজন ফটোগ্রাফার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে। আর এ আয় দিয়ে তাদের সংসার চলে।

ফটোগ্রাফার আগ্রহী গ্রাহকের ছবি তুলতে ক্যামেরা ক্লিক করতেই থাকে। তারপর ভালোমন্দ সব ছবি গ্রাহকের মোবাইলে ট্রান্সফার করে প্রতি ক্লিক হিসাবে টাকা দাবি করে। এতে দেখা যায় মূলত: গ্রাহক ৪/৫টি ছবি তুলেছে। কিন্তু ফটোগ্রাফার ৪/৫টি ছবির জন্য অসংখ্য ক্লিক করে সেই হিসেবে অনেক টাকা দাবী করে আর এ বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের বিতর্ক ও ঝামেলার সৃষ্টি হয়ে। তাই বিরম্বনা এড়াতে আগে থেকেই ফটোগ্রাফারের সাথে কথা বলে নিতে হবে।


সাগর সৈকতে ঘুরতে গিয়ে অনেকেই সৈকতের ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরায় অন্তরঙ্গ-স্মরণীয় মূহুর্তগুলি ক্যামেরাবন্দী করিয়ে তা নিজ মোবাইলে নিয়ে থাকেন। ভ্রাম্যমান এই ফটোগ্রাফারদের কাছে ছবি তুলতে গেলে গ্রাহকের নিরাপত্তার স্বার্থে যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো- গ্রাহকের ছবিটি ক্যামেরাম্যান তার ক্যামেরা থেকে ডিলেট করলো কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। সে যদি ছবি ডিলেট করেও এবং ব্যাকআপ রেখে দেয় তাতেও কিন্তু গ্রাহক নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। কেননা, সব ফটোগ্রাফার সততা বজায় নাও রাখতে পারে। সাইবার ক্রাইমারদের সাথে কারো কারো যোগাযোগ নেই এমনটি নিশ্চিৎ করে বলাও যায় না। গ্রাহকের অন্তরঙ্গ কোনো ছবি দিয়ে সে যে কোনো সমস্যায় ফেলতে পারে। তাই নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় ছবি তোলার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে বিশেষ করে মহিলাদের।


কক্সবাজার ও ইনানী বীচে ঘুরতে আসা ছবি তুলতে আগ্রহী একাধিক পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের ক্যামেরা থেকে ছবি ডিলেটের বিষয়টি তারা সেরকম ভেবে দেখেননি। তবে পরবর্তীতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেন। ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারদের হাতে কোনো পর্যটক যাতে এ ধরণের সমস্যার সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তারা অনুরোধ জানান।