অনলাইন ডেস্ক: শাহীনের ওপর হামলা চালিয়ে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে শাহীন এর ভ্যানটিও। সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান প্রেস ব্রিফিং করে এ কথা জানান।
সাতক্ষীরায় কিশোর শাহীন মোড়লের ওপর হামলা চালিয়ে তার ভ্যান ছিনতাই করেছিল দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত শাহীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ সুপার জানান, শাহীনের ওপরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের নাইমুল ইসলাম (২৪), সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর গ্রামের আরশাদ পাড় ওরফে নুনু মিস্ত্রি (৬৫) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের বাকের আলী (৪৫)।
পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার নাইমুলসহ অজ্ঞাত আরও তিনজন গোপন সভা করেন। এরপর নাইমুলের মুঠোফোন দিয়ে ভ্যান চালক শাহিনকে ফোন করে বলে আগামীকাল শুক্রবার কলারোয়ায় একটা ভাড়া আছে, তুই সকালে কেশবপুর বাজারে চলে আসিস। এ সময় তাঁরা শাহীনকে সাড়ে তিন শত টাকা ভাড়াও দেবেন বলে জানান। সকালে তাঁরা একসঙ্গে শাহীনের ভ্যানযোগে কেশবপুর হাসপাতালের সামনে দিয়ে সরসকাটি চৌগাছা হয়ে ধানদিয়া হামজামতলা মোড়ে ফাঁকা জায়গায় পৌঁছে ভ্যান থামাতে বলে। এরপর তারা ভ্যানটি তাদের দিয়ে শাহীনকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে। এ সম্পর্কে কাউকে কিছু বললে শাহীনকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শাহীন ভ্যান দিতে রাজী না হলে তারা শাহীনের মাথায় আঘাত করে তাকে পাট খেতে ফেলে দেয়। পরে তারা চারজন ভ্যানটি নিয়ে ঝাউডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ঝাউডাঙ্গা বাজারে এসে তারা প্রথমে বাকের আলীর কাছে চারটি ব্যাটারি ছয় হাজার ২৩৬ টাকায় বিক্রি করে। এরপর তারা কলারোয়া উপজেলার মির্জাপুর মোড়ে গিয়ে আরশাদ পাড়ের কাছে ভ্যানটি সাত হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। পরে তারা সবাই টাকা ভাগাভাগি করে কেশবপুর চলে যায়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনার পর গত দুই দিনে যশোর পুলিশের সহযোগিতায় সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল প্রথমে কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন নাইমুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভ্যানসহ তার সহযোগী কলারোয়ার আলাইপুর থেকে আরশাদ ও গোবিন্দকাটি থেকে বাকের আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।