টেকনাফ প্রতিনিধি:কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন লেগে ৩০টি ঘর পুড়ে গেছে। তার মধ্যে একটি মসজিদও রয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে চার রোহিঙ্গা আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালংয়ের পাঁচ নম্বর ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে উখিয়া ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উখিয়ার থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন,দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে এক বৃদ্ধাসহ চার রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। ক্যাম্পে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন,‘রোহিঙ্গা শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির ট্যাংকিতে প্রচুর পরিমাণ পানি ছিল, তা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসও ছিল। আগুনে একটি মসজিদসহ ৩০টি ঝুপড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রোহিঙ্গারা জানায়, হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে এক রোহিঙ্গা নারীর ঘরে আগুন লাগে। পরে আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৩০টি ঝুপড়ি ঘর পুড়ে যায়। আগুনে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ঘরে থাকা নগদ টাকা ও চালসহ পণ্য সামগ্রী পুড়ে গেছে।
উখিয়া ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ ইমদাদুল বলেন,‘ফায়ার সার্ভিস দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে মসজিদসহ ৩০টি ঝুপড়ি ঘর পুড়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার সেনাদের অভিযানের মুখে পড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাফ নদী পেরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের পাহাড় ও বন কেটে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে ৪ লাখের মত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।