ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাশরাফিকে নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য, ছয় চিকিৎসককে শোকজ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯
  • ৪৭৮ বার পড়া হয়েছে

ধানসিঁড়ি নিউজঃ
জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন ও বিরূপ মন্তব্য করায় ছয় চিকিৎসককে শোকজ (কারণ দর্শাও নোটিশ) করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

গত ৬ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পার্সোনাল অধিশাখার উপ-সচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে এ শোকজের কথা জানানো হয়।

গত ২৮ এপ্রিল ফেসবুকে পৃথক পৃথক পোস্টে ছয় চিকিৎসক মাশরাফিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।

ছয় চিকিৎসক হলেন- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিনের সহযােগী অধ্যাপক ডা. মােহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরােলজি বিভাগের সহযােগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকসের রেজিস্ট্রার ডা. আইরিন আফরােজ, নওগাঁ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জলিল জুলি ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদী হাসান।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, ফেসবুক টাইমলাইনে মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা সম্পর্কে অশালীন এবং অযাচিত ভাষা ব্যবহার করে পাবলিক পোস্ট দেয়া, মাশরাফিকে বেয়াদব আর অশিক্ষিত গেঁয়াে মাস্তান ও হাফলেডিস ইত্যাদি বলা হয়েছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এ আচরণ অনুচিত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, এসব আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ হিসেবে গণ্য। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) মােতাবেক অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে কেন উক্ত বিধিমালার অধীনে যথােপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না তা এ নােটিশ প্রাপ্তির ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানাের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হলো।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক এই সংসদ সদস্য গত ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টার দিকে আকস্মিকভাবে সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ সময় হাজিরা খাতায় ৩ চিকিৎসকের স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর এবং পরে অনুপস্থিত সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মাশরাফি। কথা বলার এক পর্যায়ে সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আকরাম হোসেনকে উদ্দেশ্য করে মাশরাফি মোবাইল ফোনে বেশ রুঢ় ভাষায় তাকে বলেন, ফাইজালামি পাইছেন?….এখন বলেন আমি আপনারে কী করবো?
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর চিকিৎসকসহ অন্যান্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক মাশরাফির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তবে মাশরাফির পক্ষে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। মাশরাফির বিরুদ্ধে ফেসবুকে মন্তব্য করায় চিকিৎসকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

মাশরাফিকে নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য, ছয় চিকিৎসককে শোকজ

আপডেট সময় : ১১:৫৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯

ধানসিঁড়ি নিউজঃ
জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন ও বিরূপ মন্তব্য করায় ছয় চিকিৎসককে শোকজ (কারণ দর্শাও নোটিশ) করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

গত ৬ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পার্সোনাল অধিশাখার উপ-সচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে এ শোকজের কথা জানানো হয়।

গত ২৮ এপ্রিল ফেসবুকে পৃথক পৃথক পোস্টে ছয় চিকিৎসক মাশরাফিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।

ছয় চিকিৎসক হলেন- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিনের সহযােগী অধ্যাপক ডা. মােহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরােলজি বিভাগের সহযােগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকসের রেজিস্ট্রার ডা. আইরিন আফরােজ, নওগাঁ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জলিল জুলি ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদী হাসান।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, ফেসবুক টাইমলাইনে মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা সম্পর্কে অশালীন এবং অযাচিত ভাষা ব্যবহার করে পাবলিক পোস্ট দেয়া, মাশরাফিকে বেয়াদব আর অশিক্ষিত গেঁয়াে মাস্তান ও হাফলেডিস ইত্যাদি বলা হয়েছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এ আচরণ অনুচিত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, এসব আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ হিসেবে গণ্য। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) মােতাবেক অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে কেন উক্ত বিধিমালার অধীনে যথােপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না তা এ নােটিশ প্রাপ্তির ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানাের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হলো।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক এই সংসদ সদস্য গত ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টার দিকে আকস্মিকভাবে সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ সময় হাজিরা খাতায় ৩ চিকিৎসকের স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর এবং পরে অনুপস্থিত সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মাশরাফি। কথা বলার এক পর্যায়ে সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আকরাম হোসেনকে উদ্দেশ্য করে মাশরাফি মোবাইল ফোনে বেশ রুঢ় ভাষায় তাকে বলেন, ফাইজালামি পাইছেন?….এখন বলেন আমি আপনারে কী করবো?
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর চিকিৎসকসহ অন্যান্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক মাশরাফির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তবে মাশরাফির পক্ষে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। মাশরাফির বিরুদ্ধে ফেসবুকে মন্তব্য করায় চিকিৎসকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।