ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালের করোনা যোদ্ধা বিভূতিভূষণ কে জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
  • ৮৮৯ বার পড়া হয়েছে

শাহজাদা হিরা// বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়লোজি বিভাগে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত হবার পর থেকে। শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহের লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিকিৎসক এবং নার্সসহ অভিজ্ঞ সকলেই এ কাজে অপরাগ প্রকাশ করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন ঠিক তখন স্বেচ্ছায় এ কাজের জন্য নিজেকে সমর্পন করেন হাসপাতালের কনিষ্ঠ টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ হালদার (৩০)। আজ অবধি যিনি একাই জীবন বাজি রেখে করোনা রুগীর পাশে এসে দাঁরিয়েছে একাই শেবাচিমের করোনা রুগীদের নমুনা সংগ্রহ করছেন পরিক্ষার জন্য।

আজ বিভূতিভূষণ এর বীরত্বের জন্য তার পাশে এসে দাঁরিয়েছে বরিশালের জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে আজ ২৬ এপ্রিল বিকেলে টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ কে তার কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড এবং শুভেচ্ছা স্বরূপ রকমারি ফলের ঝুড়ি প্রদান করা হয়।

জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান এর পক্ষ থেকে এই উৎসাহ প্রদানের জন্য শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসন এর সহকারি কমিশনার ও এনডিসি বরিশাল রবিন শীষ। করোনা দুর্যোগে গত ২৯ মার্চ থেকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

সেই দিন থেকেই এক নাগারে নমুনা সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছেন টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ হালদার। এদিকে বেশির ভাগ মানুষ যখন করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত, কেউ আক্রান্ত শুনলেই দূরে সরে যাচ্ছেন, এমনকি স্বজনরাও যখন আক্রান্তদের ছেড়ে যাচ্ছেন ঠিক সেই সময় বিভূতিভূষণ দাস করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের একেবারে কাছে গিয়ে নিজের কাজটুকু করে করোনা দুর্যোগের মধ্যে প্রকৃত মানব সেবার প্রমান দিচ্ছেন।

এই কাজের জন্য হাসপাতাল থেকে পাঁচজনকে রোস্টার করে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। নমুনা সংগ্রহের কথা শুনেই সহকর্মীদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ পড়ে। অনেকে অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে রোস্টার থেকে একে একে সবাই নাম কাটিয়ে নিলেন। তখন শেষ পর্যন্ত কাজটা একাই নিয়ে নেয় বিভূতিভূষণ।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

বরিশালের করোনা যোদ্ধা বিভূতিভূষণ কে জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান

আপডেট সময় : ১০:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

শাহজাদা হিরা// বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়লোজি বিভাগে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত হবার পর থেকে। শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহের লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিকিৎসক এবং নার্সসহ অভিজ্ঞ সকলেই এ কাজে অপরাগ প্রকাশ করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন ঠিক তখন স্বেচ্ছায় এ কাজের জন্য নিজেকে সমর্পন করেন হাসপাতালের কনিষ্ঠ টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ হালদার (৩০)। আজ অবধি যিনি একাই জীবন বাজি রেখে করোনা রুগীর পাশে এসে দাঁরিয়েছে একাই শেবাচিমের করোনা রুগীদের নমুনা সংগ্রহ করছেন পরিক্ষার জন্য।

আজ বিভূতিভূষণ এর বীরত্বের জন্য তার পাশে এসে দাঁরিয়েছে বরিশালের জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে আজ ২৬ এপ্রিল বিকেলে টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ কে তার কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড এবং শুভেচ্ছা স্বরূপ রকমারি ফলের ঝুড়ি প্রদান করা হয়।

জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান এর পক্ষ থেকে এই উৎসাহ প্রদানের জন্য শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসন এর সহকারি কমিশনার ও এনডিসি বরিশাল রবিন শীষ। করোনা দুর্যোগে গত ২৯ মার্চ থেকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

সেই দিন থেকেই এক নাগারে নমুনা সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছেন টেকনোলজিস্ট বিভূতিভূষণ হালদার। এদিকে বেশির ভাগ মানুষ যখন করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত, কেউ আক্রান্ত শুনলেই দূরে সরে যাচ্ছেন, এমনকি স্বজনরাও যখন আক্রান্তদের ছেড়ে যাচ্ছেন ঠিক সেই সময় বিভূতিভূষণ দাস করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের একেবারে কাছে গিয়ে নিজের কাজটুকু করে করোনা দুর্যোগের মধ্যে প্রকৃত মানব সেবার প্রমান দিচ্ছেন।

এই কাজের জন্য হাসপাতাল থেকে পাঁচজনকে রোস্টার করে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। নমুনা সংগ্রহের কথা শুনেই সহকর্মীদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ পড়ে। অনেকে অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে রোস্টার থেকে একে একে সবাই নাম কাটিয়ে নিলেন। তখন শেষ পর্যন্ত কাজটা একাই নিয়ে নেয় বিভূতিভূষণ।