ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাঠ পর্যায়ের সম্মুখ যোদ্ধাদের একজন হলেন বরিশাল সদর এসিল্যান্ড মোঃ মেহেদী হাসান।

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০
  • ৭২৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ শাহাজাদা হিরা::করোনা ভাইরাস এর প্রভাবে বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত তখন বাংলাদেশ সরকারের সময় উপযোগী পদক্ষেপে অনেকাংশে দেশের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সফল।

আর এই সফলতার পেছনে রয়েছে মাঠ পর্যায়ের সম্মুখ যোদ্ধাদের গল্প। ঠিক তেমনি এক সম্মুখ যোদ্ধা হলেন বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.মেহেদী হাসান।

বর্তমান করোনা মোকাবিলায় উপজেলা পর্যায়ে অন্যতম সম্মুখ যোদ্ধা ইউএনও এবং এসিল্যান্ড। এদের যুদ্ধ শুরু হয় বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে। জেলা প্রশাসকের নিদের্শনা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বরিশাল সদর উপজেলার ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্য়ায়ে দেখা গিয়েছে এসিল্যান্ড মোঃ মেহেদী হাসান কে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে।

পরবর্তী ধাপেই তিনি ছুটেছেন কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা নিয়ে। কখনও সরকারি গাড়ি নিয়ে; কখনও দূর্গম এলাকায় মটরসাইকেল যোগে বা পায়ে হেঁটে পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রী। পাশাপাশি ভূমিকা রেখে চলেছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হ্যান্ডমাইক নিয়ে সরকারি নির্দেশনা প্রচারে।

প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে করছেন আইনের প্রয়োগ। এভাবেই চলছে তাঁর করোনা যুদ্ধ। তাছাড়া বাজার ব্যবস্থাপনা, ত্রাণের তালিকা সমন্বয় ও টিসিবি’র পন্য বিক্রয়ের তদারকিতে তিনি ছিলেন সদা তৎপর। এ যুদ্ধের শেষ কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেদিন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা শূন্য হবে এবং প্রত্যেকটি ক্ষুধার্ত মানুষের ঘরে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পৌঁছাবে সেদিন শেষ হবে এ যুদ্ধ।

করোনামুক্ত পৃথিবীতে প্রথম কি করতে চান জানতে চাইলে তিনি এক বাক্যে বলেন’ছুটি কাটাতে চাই’। তবে পরক্ষনেই তিনি শংকা প্রকাশ করে বলেন ইতোমধ্যে ভূমি সেক্টরে অনেক কাজ জমে গিয়েছে যা হালনাগাদ করতে হবে অতিদ্রুত। কথা প্রসংগে তিনি বলেন করোনার মধ্যেও তিনি নিয়মিত অভিযান চালিয়েছেন অবৈধ বালু উত্তোলনকারী এবং নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে; ধ্বংস করছেন একাধিক অবৈধ ড্রেজিং মেশিন।
তিনি বলেন মাঠ পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে দেশের সকল এসিল্যান্ড; আমিও তাদের একজন।

পরিশেষে, ভূমি সেবার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের দুর্যোগের মুহুর্তে সরকারি যে কোন নির্দেশনা পালন এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তার আওতাভূক্ত যে কোন অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে তিনি বদ্ধপরিকর।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

মাঠ পর্যায়ের সম্মুখ যোদ্ধাদের একজন হলেন বরিশাল সদর এসিল্যান্ড মোঃ মেহেদী হাসান।

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০

মোঃ শাহাজাদা হিরা::করোনা ভাইরাস এর প্রভাবে বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত তখন বাংলাদেশ সরকারের সময় উপযোগী পদক্ষেপে অনেকাংশে দেশের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সফল।

আর এই সফলতার পেছনে রয়েছে মাঠ পর্যায়ের সম্মুখ যোদ্ধাদের গল্প। ঠিক তেমনি এক সম্মুখ যোদ্ধা হলেন বরিশাল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.মেহেদী হাসান।

বর্তমান করোনা মোকাবিলায় উপজেলা পর্যায়ে অন্যতম সম্মুখ যোদ্ধা ইউএনও এবং এসিল্যান্ড। এদের যুদ্ধ শুরু হয় বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে। জেলা প্রশাসকের নিদের্শনা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বরিশাল সদর উপজেলার ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্য়ায়ে দেখা গিয়েছে এসিল্যান্ড মোঃ মেহেদী হাসান কে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে।

পরবর্তী ধাপেই তিনি ছুটেছেন কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা নিয়ে। কখনও সরকারি গাড়ি নিয়ে; কখনও দূর্গম এলাকায় মটরসাইকেল যোগে বা পায়ে হেঁটে পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রী। পাশাপাশি ভূমিকা রেখে চলেছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হ্যান্ডমাইক নিয়ে সরকারি নির্দেশনা প্রচারে।

প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে করছেন আইনের প্রয়োগ। এভাবেই চলছে তাঁর করোনা যুদ্ধ। তাছাড়া বাজার ব্যবস্থাপনা, ত্রাণের তালিকা সমন্বয় ও টিসিবি’র পন্য বিক্রয়ের তদারকিতে তিনি ছিলেন সদা তৎপর। এ যুদ্ধের শেষ কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেদিন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা শূন্য হবে এবং প্রত্যেকটি ক্ষুধার্ত মানুষের ঘরে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পৌঁছাবে সেদিন শেষ হবে এ যুদ্ধ।

করোনামুক্ত পৃথিবীতে প্রথম কি করতে চান জানতে চাইলে তিনি এক বাক্যে বলেন’ছুটি কাটাতে চাই’। তবে পরক্ষনেই তিনি শংকা প্রকাশ করে বলেন ইতোমধ্যে ভূমি সেক্টরে অনেক কাজ জমে গিয়েছে যা হালনাগাদ করতে হবে অতিদ্রুত। কথা প্রসংগে তিনি বলেন করোনার মধ্যেও তিনি নিয়মিত অভিযান চালিয়েছেন অবৈধ বালু উত্তোলনকারী এবং নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে; ধ্বংস করছেন একাধিক অবৈধ ড্রেজিং মেশিন।
তিনি বলেন মাঠ পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে দেশের সকল এসিল্যান্ড; আমিও তাদের একজন।

পরিশেষে, ভূমি সেবার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের দুর্যোগের মুহুর্তে সরকারি যে কোন নির্দেশনা পালন এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তার আওতাভূক্ত যে কোন অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে তিনি বদ্ধপরিকর।